কলকাতা, 23 মার্চ : আগামী পাঁচদিন বাড়ি থেকে প্রয়োজন ছাড়া বেরোনো যাবে না । কোরোনা ভাইরাস যাতে সংক্রমিত না হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে । সাধারণ মানুষ কী করবেন, আর কী করবেন না সে বিষয়ে আইনজীবী ফিরদৌস সামিম সতর্ক করেছেন সাধারণ মানুষকে ।
সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সরকারি নির্দেশ পালন করতে হবে সবাইকে । আক্ষরিক অর্থেই জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে । জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম । কোরোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি । যতটা সম্ভব বাড়ির বাইরে না বেরোনো । কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় কাজের জন্য বাড়ির বাইরে বেরোনো যাবে । বাইরে বেরোলে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখার জন্য রাজ্য সরকার আবেদন জানিয়েছে । ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার মহামারী আইন এরাজ্যে চালু করেছে । কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে ঠেকাতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার মহামারী আইনের কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছেন এরাজ্যে । যার সিংহভাগই রাজ্যের মানুষের কাছে অজানা ।
আইনের প্রত্যেকটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মানুষকে মেনে চলতে হবে । না হলে শাস্তিও হতে পারে । মহামারী আইনে বলা রয়েছে, বন্ধ থাকবে কারখানা এবং গোডাউনসহ যে সমস্ত জায়গায় বহু মানুষের সমাগম হয় সেই সমস্ত জায়গা । সম্পূর্ণ তালাবন্ধ অবস্থায় রাখতে হবে । বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং গণপরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখার নিদান দেওয়া হয়েছে । অন্যদিকে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য কিছু দোকান খোলা থাকবে । যেমন ওষুধের দোকান, মুদির দোকান, সবজি, ফল, দুধ এবং মাছ, মাংসের দোকান খোলা থাকবে । পেট্রোল পাম্প, ব্যাংক, এটিএম এবং জরুরি পরিষেবা সংবিধানের অন্যতম স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম যথারীতি কাজ করতে পারবে । এই আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে বিষয়গুলি । বাইরে বেরোলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে প্রত্যেক নাগরিককে । বিদেশিদের এরাজ্যে ঘরবন্দী অবস্থায় থাকতে হবে । মহামারী আইনের এটি অন্যতম শর্ত । স্বাস্থ্যকর্মীদের সবরকম নির্দেশাবলী পালন করতে হবে । এক জায়গায় সাতজনের বেশি জমায়েত কোনওভাবেই করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে মহামারী আইনে । এর অন্যথা হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা রাজ্য নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে । এমনটাই মত আইনজীবী ফিরদৌস সামিমের ।