কলকাতা, 14 জানুয়ারি : ‘চ্যাপ্টার ক্লোজ’ করলেন কুণাল ঘোষ ৷ কিন্তু কীসের চ্যাপ্টার ক্লোজ করলেন, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তৃণমূল কংগ্রেসের এই মুখপাত্র ৷ তবে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তিনি এই কথা বলেছেন (Kunal-Kalyan Controversy) ৷
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, কেন কুণাল ঘোষ (TMC Leader Kunal Ghosh) শ্রীরামপুরের সাংসদ সম্পর্কে এই মন্তব্য করবেন ? এর উত্তর পেতে গেলে নজর রাখতে গত কয়েকদিনের তৃণমূলের অন্দরের রাজনীতির দিকে ৷
কয়েকদিন আগে আলিপুরে এক প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেদিন তিনি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া ও আগামী দু‘মাস সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি ও মেলা পিছিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন ৷ জানিয়েছিলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত ৷
কিন্তু অভিষেক তো শুধু ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নন ৷ তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷ তাই তাঁর এই মন্তব্যে আলোড়ন পড়ে ৷ প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি অভিষেকের বক্তব্যই তৃণমূল কংগ্রেসের অভিমত ? দলের নেতাদের অনেকেই এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ৷
তবে উল্টো সুর শোনা যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ৷ তিনি দলের মত ও অভিষেকের মত কেন আলাদা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের কড়া সমালোচনা করেন ৷ এভাবে প্রকাশ্যে অভিষেকের সমালোচনা করায় হইচই পড়ে যায় ৷ এর পরই আসরে নামেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ৷ তিনি সওয়াল করেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরই স্থান অভিষেকের ৷ তাই দলের সৈনিক হিসেবে প্রত্যেকেই তাঁদের বক্তব্য শোনা উচিত ৷ কল্যাণ আবার এর পাল্টা দেন ৷ মমতাই তাঁর একমাত্র নেত্রী বলেও দাবি করেছিলেন ৷
রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল, এর পর হয়তো কুণাল ঘোষ আবার পালটা কিছু বলবেন ৷ কিন্তু তার আগেই আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার কল্যাণকে লোকসভায় তৃণমূলের চিফ হুইপ পদ থেকে সরানোর দাবি তোলেন ৷
আরও পড়ুন : Aparupa Criticise Kalyan : কল্যাণকে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’ বলে তোপ অপরূপার, চিফ হুইপ পদে ইস্তফা দাবি
এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে কুণাল ঘোষ লিখলেন, চ্যাপ্টার ক্লোজড ৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দলের নেতাদের মধ্যে এভাবে প্রকাশ্যে বিবাদ তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে ৷ সেই কারণে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হল ৷