কলকাতা, 30 এপ্রিল : কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মে মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু করতে হবে 18 বছরের ঊর্ধ্বের ব্যক্তিদের করোনার টিকাকরণ ৷ কিন্তু নির্ধারিত সেই দিন অর্থাৎ আগামিকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে কি সেই টিকাকরণ শুরু হবে ? রাজ্য সরকারের নির্দেশ ঘিরে এমনই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেই নির্দশে জানানো হয়েছে যে আগামিকাল 1 মে থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং 45 বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের করোনার টিকাকরণের কাজ যেমন চলছে, তেমন চলবে ৷ দ্বিতীয় ডোজ যাঁদের বাকি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ৷
এমনকী, প্রথম দফায় বেসরকারি কোনও হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে থাকলে পরের দফায় সরকারি কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে ৷
একই সঙ্গে জানানো হয়েছে যে 18 থেকে 44 বছর বয়সীদের টিকাকরণের কর্মসূচি ভ্যাকসিন উপলব্ধ হওয়ার পর চালু হবে । এই নিয়ে যথাসময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে ৷
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার ? সরকারি সূত্রের খবর, পয়লা মে থেকে যেহেতু সমস্ত 18 ঊর্ধ্ব নাগরিকের টিকাকরণ শুরু হবে, তাই বিশৃংখলার সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু কোথাও যাতে এই বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় সেই জন্য সাধারণ মানুষকে জানানো হল ভ্যাকসিনের যোগান অনুসারে 18 ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে । তবে যেহেতু 45 ঊর্ধ্বরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছে । তাই আগে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে । তারপর ধাপে ধাপে বাকিদের টিকাকরণ ৷
আরও পড়ুন : আংশিক লকডাউনের পথে রাজ্য, জারি নয়া নির্দেশিকা
একই সঙ্গে সরকারের তরফে জানা গিয়েছে যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে করোনার ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করার কথা বলেছে, যাতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই টিকাকরণের কাজ করা যায় ৷ 2 কোটি ভ্যাকসিন চাওয়া হয়েছে 18-45 বছর বয়সী নাগরিকদের টিকা দেওয়ার জন্য ৷ ওই টিকায় এই বয়স সীমার মধ্যে 1 কোটি মানুষ টিকা পাবেন ৷ আর বেসরকারি হাসপাতাল থেকে 50 লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য 1 কোটি ডোজ চাওয়া হয়েছে ৷