কলকাতা, 30 অগাস্ট: বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর । যার জেরে মামলার নিষ্পত্তি আগেই চিকিৎসার খরচ হিসাবে নেওয়া টাকার কিছু অংশ ফেরতের নির্দেশ দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)। জানানো হল, মামলার নিষ্পত্তির শেষে রোগীর পরিবারকে ফেরত দিতে হবে যে টাকা তার অঙ্ক বাড়তে বা কমতেও পারে। বেসরকারি হাসপাতাল এবং ল্যাবরেটরি মিলিয়ে 10 টি মামলার ক্ষেত্রে টাকা ফেরানোর অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন।
আলিপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালে চার দিন ভরতি ছিলেন এক কোরোনা আক্রান্ত রোগী। ওই রোগীর চিকিৎসার খরচ হিসাবে 1 লাখ 51 হাজার 259 টাকা বিল করেছিল বেসরকারি হাসপাতাল। অভিযোগ জানানো হয় কমিশনে। এই মামলায় কমিশন জানিয়েছে, চার দিনে হাসপাতালে থাকার কারণে চিকিৎসা খরচ 90 হাজার টাকা হওয়া উচিত। কমিশনের অন্তর্বর্তী নির্দেশে ওই রোগীর পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া টাকা থেকে 90 হাজার টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকা ফেরত দিতে হবে হাসপাতালকে।
তপসিয়ায় অবস্থিত আরেকটি নার্সিংহোমের COVID-19 আইসোলেশন ওয়ার্ডে ছ'দিন ভরতি ছিলেন এক রোগী। তাঁর চিকিৎসার খরচ হিসাবে নার্সিংহোম 3 লাখ 50 হাজার টাকা বিল করে। এক্ষেত্রে কমিশনের অন্তর্বর্তী নির্দেশ, নার্সিংহোমকে 1 লাখ 50 হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে। নার্সিংহোমকে হলফনামাও পেশ করতে বলেছে কমিশন। আরেকটি ঘটনায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে এক প্রৌঢ়কে ভরতি করা হয়েছিল বজবজের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে ভরতি হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতাল রোগীর পরিজনদের 1 লাখ টাকা জমা করতে বলে। কমিশনের অন্তর্বর্তী নির্দেশে বজবজের বেসরকারি হাসপাতালটিকেও 1 লাখ টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, কোরোনা সংক্রমণের বিষয়টি প্রশাসনকে না জানিয়ে রোগীর চিকিৎসার জন্য 1 লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগ গুরুতর৷ জেলা প্রশাসনকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, চিকিৎসা সামগ্রীর খরচ হিসাবে মুকুন্দপুরে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালকে 27 হাজার টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে অন্তর্বর্তী নির্দেশে। দমদমে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালকে 15 হাজার টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে৷ এই 15 হাজার টাকা PPE-র জন্য চার্জ করা হয়েছিল।
কমিশন জানিয়েছে, 10 টি মামলার মধ্যে বাকি মামলাগুলির ক্ষেত্রে কোরোনা টেস্ট সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। টেস্টের জন্য অতিরিক্ত খরচ নেওয়ার অভিযোগ। 10 টি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী 4 সেপ্টেম্বর। অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে, মামলাগুলির নিষ্পত্তির আগেই কমিশনের অন্তর্বর্তী নির্দেশে রোগীর পরিবারের "প্রাপ্যে"র কিছু অংশ ফেরত দিতে বলা হয়েছে।