কলকাতা, 3 মার্চ : বামফ্রন্টের বৈঠকে আসন বন্টন নিয়ে সিপিআইএমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপির রাজ্য সম্পাদকের । আলিমুদ্দিন থেকে আরএসপির সর্বভারতীয় সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, এভাবে আসন সমঝোতা হয় না। শরিক দলের সম্ভাবনাময় আসনগুলি নিয়ে জোর দেখানো হচ্ছে । নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হলেই সব খেলা শেষ হয়ে যাবে বামফ্রন্টের বলে মনে করেন তিনি।
বালুরঘাটের আসন দীর্ঘদিন ধরেই আরএসপির জেতা আসন। ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই দীর্ঘদিনের মন্ত্রী ছিলেন বিশ্বনাথ চৌধুরি। বর্তমানেও তিনিই বিধায়ক । আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ শোনা যায় মনোজ ভট্টাচার্যের গলায় । যদিও ক্যামেরার সামনে তিনি জানিয়েছেন বার্ধক্যজনিত কারণেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বিশ্বনাথ চৌধুরি । অন্যদিকে ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকেও আসন সমঝোতা নিয়েও কথা কাটাকাটি শুরু হয় বৈঠকের মধ্যে । বৈঠকের মধ্যেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে মতানৈক্য শুরু হয় ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের। বিমান বসুর উদ্দেশ্যে নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে আসন ছাড়তে গিয়ে সংগঠনের ক্ষতি হবে এবং কর্মীরা ভুল বুঝবে।
নরেন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সকলেই কম বেশি আসন ছাড়তে হচ্ছে । এই আসন ছাড়ার কারণে ক্ষোভ তো থাকবেই কর্মীদের মধ্যে। নেতাদের মধ্যেও ক্ষোভ থাকবে। বামপন্থীরা ঐক্যবদ্ধ । সিপিআইএম দল সেকুলার ফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার পর অনেক আসনই ছাড়তে হচ্ছে । সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে ।
আরও পড়ুন : জোট জট কাটাতে আব্বাসকে নিয়ে ফের বৈঠকে বামেরা
এখনও রয়েই গিয়েছে জোটের জট। এখনও আসন সমঝোতাও চূড়ান্ত হয়নি। ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেই তা স্পষ্ট । আসন ছাড়লে কর্মীদের ক্ষোভ থাকবে, আর নেতাদের ক্ষোভ থাকবে না? প্রশ্ন নরেন চট্টোপাধ্যায়ের।