কলকাতা, 15 জুন : এবার ত্রাণ নিয়ে কুমোরদের বাড়ি যাবে ফরওয়ার্ড ব্লক । কোরোনা পরিস্থিতিতে এখানকার শিল্পীদের অবস্থা খুবই শোচনীয় । তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণের উদ্যোগ নিল ফরওয়ার্ড ব্লক ।
সামনে দুর্গাপুজো । কিন্তু কুমোর বাড়িতে আসছে না কোনও পরিচিত লোকজন । এখানকার মৃৎশিল্পীরা দীর্ঘ লকডাউনে বিপর্যস্ত । মাথায় হাত তাঁদের । সারাবছরের সিংহভাগ আয় হয় এই শারদ উৎসবে । এই বছরের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা । কোনও বায়না নেই । এই সময় প্রতি বছর ঠাকুর তৈরির বায়না করতে আসে বহু পুজো কমিটি । বেশ কিছু বাড়ির পুজোরও অর্ডার পান তাঁরা । কিন্তু এই বছর এখনও পর্যন্ত ঠাকুর তৈরির কোনও বায়না আসেনি। তাই বিপন্ন মৃৎশিল্পীদের কথা ভেবেই বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক সাহায্যের জন্য তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কুমোরটুলিতে কোনও কাজ শুরু হয়নি । নতুন করে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাঠামো বানানো হয়নি । যা রয়েছে তা গতবারের কয়েকটি ঠাকুর । পালপাড়ার পাল মশাইদের বাড়িতে চারিদিকে বিষাদের ছায়া । কী রকমের এক অদ্ভূত কষ্ট । হাজার হাজার মৃৎশিল্পী মাথায় হাত দিয়ে বসে । তাঁদের এত খারাপ অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না । খুব খারাপ লাগছে, মাটি, বাঁশ, বিচুলি, দড়ি এবং রং সবই আছে কিন্তু বায়না দেওয়ার লোক নেই । দেশে বা রাজ্যে কোনও সরকার আছে বলে মনে হচ্ছে না । এত বড় একটা শিল্প, তাঁর সঙ্গে অসংখ্য মানুষ জড়িত। অথচ সরকারের কোনও হুশ নেই । ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধ থাকলেও সাধ্য নেই । তাহলেও তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন নরেন চট্টোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, " আবাহনের আগেই বিসর্জনের বাজনা একদম শুনতে ভালো লাগছে না । সকল পুজো কমিটির কাছে সবিনয় নিবেদন আপনাদের সঙ্গে অনেক বছরের সম্পর্কিত, কুমোরদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসুন । আগামীকাল থেকে বারাসতের কুমোর বাড়িতে মৃৎশিল্পীদের শুকনো খাবার পৌঁছে দেবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে ফরওয়ার্ড ব্লক । এই ভয়ঙ্কর কালো মেঘ কেটে যাক, মানুষ আবার পুরোনো ছন্দে ফিরে আসুক। কেবলমাত্র শুকনো খাবার নয়। পুজোর আগে মৃৎশিল্পীদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে ফরওয়ার্ড ব্লক। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।"