ETV Bharat / state

ট্যাব দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের হাত কি অন্য সরকারি প্রকল্পেও! পুলিশের হাতে ভয়ঙ্কর তথ্য

মালদায় ট্যাব দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার আরও একজন ৷ সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷

TAB FRAUD CASE
ট্যাব দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের হাত কি অন্য সরকারি প্রকল্পেও! পুলিশের হাতে ভয়ঙ্কর তথ্য (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 17 hours ago

মালদা, 3 ডিসেম্বর: পড়ুয়াদের ট্যাব কেলেঙ্কারিতে কি এক পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত ? এই দুর্নীতিতে ভাইয়ের পর দাদার গ্রেফতারিতে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷

সঙ্গে দেখা দিয়েছে আরেক শঙ্কা ৷ যে পদ্ধতিতে এই কেলেঙ্কারি ঘটানো হয়েছে, তেমনই কোনও পদ্ধতিতে অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের টাকা গায়েব হয়ে যায়নি তো ? ট্যাব দুর্নীতিতে ধৃতদের জেরা করে পুলিশের মনে সেই সন্দেহ দানাবাঁধতে শুরু করেছে ৷ তবে এই নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মালদা জেলা পুলিশের কোনও কর্তা ৷

মালদা জেলায় ট্যাব কেলেঙ্কারির প্রথম খবর পাওয়া যায় তিনটি স্কুলে ৷ তার মধ্যে একটি হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুল ৷ এই স্কুলের 35 জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব হয়ে যায় ৷ তদন্তে নেমে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকার একটি গ্রাম থেকে মোবারক হোসেন নামে একজন যুবককে গ্রেফতার করে ৷

তাঁর হেফাজত থেকে পেনড্রাইভ, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ একাধিক সিমকার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ শুরু হয় দফায় দফায় জেরা ৷ সোমবার কনুয়া সংলগ্ন রানিকামাত গ্রাম থেকে মোবারকের দাদা মহম্মদ শাহজাহান আলমকে গ্রেফতার করা হয় ৷ চাঁচল মহকুমা আদালতের অনুমতিক্রমে তাঁকেও পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে৷ চলছে জেরা ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, “ট্যাব দুর্নীতির তদন্তে নেমে ভাইকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ গতকাল তাঁর দাদাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পুলিশি জেরায় ভাইয়ের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ আমরা আশা করছি, দাদার কাছ থেকেও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে ৷” তবে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, ধৃত দাদা ও ভাইকে জেরা করে নিশ্চিত, এই কেলেঙ্কারির শিকড় বাংলা ছাড়িয়ে একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ৷

বিষয়টি নিয়ে কার্যত নিশ্চিত জেলা পুলিশের কর্তারাও ৷ তবে তাঁরা এখন অন্য বিষয় নিয়ে চিন্তিত ৷ ট্যাব কেলেঙ্কারিতে ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই চক্রের লোকজন গরিব ও নিরক্ষর গ্রামবাসীদের টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে ৷ সেসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাঁরা একাধিক সরকারি প্রকল্পেও কেলেঙ্কারির চেষ্টা চালিয়েছে ৷

শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, তাঁরা মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা-সহ একাধিক রাজ্য সরকারের প্রকল্পে সেই চেষ্টা চালায় ৷ তবে এতে তাঁরা কতটা সফল হতে পেরেছেন, তা এখনও জানা যায়নি ৷ কারণ, ধৃতদের জেরা করে এখনও পর্যন্ত যেসব তথ্য হাতে এসেছে, তা যাচাই করে উঠতে পারেননি জেলা পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা ৷

জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, “ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ভুয়ো নামে মোবাইলের সিমকার্ড তোলা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, এটিএম কার্ড সংগ্রহ করা, ফোনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা এদের নখদর্পণে ৷ কিছু সরকারি সাইটের আইপি অ্যাড্রেসও এদের জানা রয়েছে ৷ তবে সেই আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে সরকারি পোর্টালে ঢুকে সিস্টেমে কারচুপি করা হয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিতভাবে বোঝা যায়নি ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের ধারণা, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, একাধিক রাজ্যের সরকারি প্রকল্পের কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকতে পারে এরা ৷ এখনও ধৃতদের দফায় দফায় জেরা চলছে ৷ তদন্ত শেষ না হলে এদের হাত কতটা লম্বা, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না ৷”

মালদা, 3 ডিসেম্বর: পড়ুয়াদের ট্যাব কেলেঙ্কারিতে কি এক পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত ? এই দুর্নীতিতে ভাইয়ের পর দাদার গ্রেফতারিতে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷

সঙ্গে দেখা দিয়েছে আরেক শঙ্কা ৷ যে পদ্ধতিতে এই কেলেঙ্কারি ঘটানো হয়েছে, তেমনই কোনও পদ্ধতিতে অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের টাকা গায়েব হয়ে যায়নি তো ? ট্যাব দুর্নীতিতে ধৃতদের জেরা করে পুলিশের মনে সেই সন্দেহ দানাবাঁধতে শুরু করেছে ৷ তবে এই নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মালদা জেলা পুলিশের কোনও কর্তা ৷

মালদা জেলায় ট্যাব কেলেঙ্কারির প্রথম খবর পাওয়া যায় তিনটি স্কুলে ৷ তার মধ্যে একটি হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুল ৷ এই স্কুলের 35 জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব হয়ে যায় ৷ তদন্তে নেমে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকার একটি গ্রাম থেকে মোবারক হোসেন নামে একজন যুবককে গ্রেফতার করে ৷

তাঁর হেফাজত থেকে পেনড্রাইভ, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ একাধিক সিমকার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ শুরু হয় দফায় দফায় জেরা ৷ সোমবার কনুয়া সংলগ্ন রানিকামাত গ্রাম থেকে মোবারকের দাদা মহম্মদ শাহজাহান আলমকে গ্রেফতার করা হয় ৷ চাঁচল মহকুমা আদালতের অনুমতিক্রমে তাঁকেও পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে৷ চলছে জেরা ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, “ট্যাব দুর্নীতির তদন্তে নেমে ভাইকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ গতকাল তাঁর দাদাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পুলিশি জেরায় ভাইয়ের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ আমরা আশা করছি, দাদার কাছ থেকেও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে ৷” তবে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, ধৃত দাদা ও ভাইকে জেরা করে নিশ্চিত, এই কেলেঙ্কারির শিকড় বাংলা ছাড়িয়ে একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ৷

বিষয়টি নিয়ে কার্যত নিশ্চিত জেলা পুলিশের কর্তারাও ৷ তবে তাঁরা এখন অন্য বিষয় নিয়ে চিন্তিত ৷ ট্যাব কেলেঙ্কারিতে ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই চক্রের লোকজন গরিব ও নিরক্ষর গ্রামবাসীদের টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে ৷ সেসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাঁরা একাধিক সরকারি প্রকল্পেও কেলেঙ্কারির চেষ্টা চালিয়েছে ৷

শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, তাঁরা মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা-সহ একাধিক রাজ্য সরকারের প্রকল্পে সেই চেষ্টা চালায় ৷ তবে এতে তাঁরা কতটা সফল হতে পেরেছেন, তা এখনও জানা যায়নি ৷ কারণ, ধৃতদের জেরা করে এখনও পর্যন্ত যেসব তথ্য হাতে এসেছে, তা যাচাই করে উঠতে পারেননি জেলা পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা ৷

জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, “ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ভুয়ো নামে মোবাইলের সিমকার্ড তোলা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, এটিএম কার্ড সংগ্রহ করা, ফোনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা এদের নখদর্পণে ৷ কিছু সরকারি সাইটের আইপি অ্যাড্রেসও এদের জানা রয়েছে ৷ তবে সেই আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে সরকারি পোর্টালে ঢুকে সিস্টেমে কারচুপি করা হয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিতভাবে বোঝা যায়নি ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের ধারণা, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, একাধিক রাজ্যের সরকারি প্রকল্পের কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকতে পারে এরা ৷ এখনও ধৃতদের দফায় দফায় জেরা চলছে ৷ তদন্ত শেষ না হলে এদের হাত কতটা লম্বা, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.