চন্দননগর, 3 ডিসেম্বর: ডেঙ্গি উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হল চন্দননগর হাসপাতালের চিকিৎসকের । নাম স্বাতী দে (47)। গত 24 নভেম্বর থেকে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি । চিকিৎসা চলাকালীন প্লেটলেট নামতে শুরু করে । প্রথমে চন্দননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত 30 নভেম্বর শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউ-তে রাখা হয় তাঁকে ৷ মঙ্গলবার ভোররাতে সেখানেই মৃত্যু হয় চিকিৎসকের ।
তাঁর স্বামী সুস্নাত দে একজন শল্য চিকিৎসক । চন্দননগর পুরনিগমের 16 নম্বর ওয়ার্ডের হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা এই চিকিৎসক দম্পতি । বাড়িতে রয়েছেন মৃত চিকিৎসকের মেয়ে ও শাশুড়ি ৷ মৃত্যুর খবর পেয়ে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলিক তাঁদের বাড়ি ও চন্দননগর হাসপাতালে যান । তিনি বলেন, "ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন চিকিৎসক । একজন ভালো চিকিৎসককে হারালাম আমরা ।"
ডেঙ্গিতে চিকিৎসকের মৃত্যুতে স্থানীয় কাউন্সিলরের বক্তব্য (ইটিভি ভারত) চন্দননগর 16 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিজিৎ সেন বলেন, "কয়েকদিন ধরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন । আমরা খুব উদ্বেগে ছিলাম । খুব দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেল । এলাকার মানুষের কাছে আবেদন জানাব ডেঙ্গির মশা থেকে বাঁচার জন্য সচেতন থাকতে হবে । চন্দননগরে এমনিতেই ডেঙ্গির প্রকোপ কম । ওনারা যে এলাকায় থাকেন সেটাও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ৷ কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা বুঝতে পারছি না ৷"চন্দননগর কর্পোরেশনের মেয়র রাম চক্রবর্তীর কথায়, "চন্দননগরে যে চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে তাতে আমার শোকাহত । ডেঙ্গিতে যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তার তথ্য আমাদের কাছে নেই । এমনকি ওই ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ নেই বললেই চলে । চন্দননগরে নভেম্বর মাসে 22 জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিল । তবে মৃত্যুর খবর নেই । আমাদের 33টি ওয়ার্ডের মধ্যে উর্দিবাজার ও গোন্দলপাড়া এলাকায় ডেঙ্গির সংখ্যা বেশি । আমরা পুরকর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে কাজ করছি । বিভিন্ন জায়গায় পুরকর্মীরা পরিষ্কারের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে । অনেকটাই কন্ট্রোলে ডেঙ্গি । প্রচার চালানো হচ্ছে ।"