কলকাতা, 28 মার্চ : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বৃদ্ধি করার ইঙ্গিত দিল বিজেপি ৷ ইঙ্গিত দিলেন স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Bengal LoP Suvendu Adhikari) ৷ সোমবার কলকাতার রানি রাসমনি রোডে বিজেপির এক সমাবেশ থেকে তিনি জানান, আগামী এপ্রিল মাসে বিজেপি নবান্ন অভিযান কর্মসূচি করবে (Suvendu Adhikari Announces BJPs Nabanna Abhijan in next April) ৷
এদিন রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (BJPs Rally to Protest on Rampurhat Massacre) ৷ সেই মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহা-সহ একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা উপস্থিত ছিলেন ৷ কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে এদিন আলোচনার বিষয় ছিল বিধানসভায় হওয়া গোলমাল ৷ সেখানে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ (BJP-TMC MLAs Fight at West Bengal Assembly) ৷ তার পর শুভেন্দু-সহ পাঁচজন বিধায়ককে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় বিধানসভা থেকে ৷ কিন্তু কেন সাসপেন্ড করা হল, সেই ব্যাখ্যা গেরুয়া শিবিরের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ৷
তিনি বলেন, ‘‘যে বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, যে সম্প্রদায়গুলি বিজেপির ভোটার, তৃণমূলকে ভোট দেয় না । আমি শুভেন্দু অধিকারী উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ, তাই সাসপেন্ড । মনোজ টিগ্গা আদিবাসী, তাই সাসপেন্ড । দীপক বর্মন রাজবংশী, তাই সাসপেন্ড । পুরুলিয়ার কুর্মিরা তৃণমূলকে ভোট দেয় না, তাই সাসপেন্ড হয়েছেন নরহরি মাহাতো । ওবিসি হিন্দুরাও ভোট দেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাই শঙ্কর ঘোষ সাসপেন্ড হয়েছেন ।’’
একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, বিজেপি সকলকে নিয়ে চলতে চায়, তাই সংখ্য়ালঘুদের ভোট না পেলেও রামপুরহাটের ঘটনায় বিজেপি পথে নেমেছে ৷ কারণ, রামপুরহাটের মৃতরা সকলেই সংখ্যালঘু ৷ পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করেছেন, যে সংখ্যালঘুরা তৃণমূলকে ভোট দিলেন, তাঁদের উপরই অত্যাচার হচ্ছে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি টেনে এনেছেন হাওড়ার আমতার আনিশ খানের হত্যার ঘটনাও ৷
একই সঙ্গে তিনি কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও (Bengal CM Mamata Banerjee) ৷ রামপুরহাট যাওয়ার পথে বিজেপির প্রতিনিধি দলের খাওয়া-দাওয়াকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন তারই পালটা সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু ৷ তিনি বলেন, ‘‘রামপুরহাট সাত ঘণ্টার জার্নি । বিধায়করা একটু চা জল খেতেই পারে ৷ কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা ? ল্যাংচা খেয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে কিছু জন বগটুইয়ে যাচ্ছেন । আরে আমরা ল্যাংচাইনি । ভোটের সময় ভালো পায়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে আপনি লেংচে লেংচে গোটা রাজ্য ঘুরে বেরিয়েছেন । ভোট জোগাড় করার জন্য । নন্দীগ্রামের লোক আপনার টুপি পরেননি । 1956 ভোটে আপনি হেরেছেন । অন্য জায়গার লোককে টুপি পরিয়েছেন ।’’
আরও পড়ুন : Soumitra Demands 355 for Bengal : শুভেন্দুদের মারধরের অভিযোগ, লোকসভায় 355-র দাবিতে সরব সৌমিত্র