কলকাতা, 22 মার্চ : কলকাতার নামী একটি বেসরকারি স্কুলে করোনা আক্রান্ত হলেন এক ছাত্র । জানতে পেরেই এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ । সেই অনুযায়ী, আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেল স্কুল । হোলির পরের দিন ফের খোলা হবে স্কুল ।
জানা গিয়েছে, লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ স্কুলে করোনা আক্রান্ত হয়েছে এক ছাত্র । ওই স্কুলের সচিব সুপ্রিয় ধর বলেন, "সে বাড়িতেই আক্রান্ত হয়েছিল । তার বাবা-মা আগে থেকেই আক্রান্ত । সেটা না জানিয়েই সে স্কুলে আসে । পরে বাবা-মা আমাদের জানালে আমরা স্কুল বন্ধ করে দিই ।" সুপ্রিয়বাবু জানাচ্ছেন, গত সপ্তাহেই শুরু হয়েছিল দশম শ্রেণির প্রি-বোর্ড পরীক্ষা । স্কুলে এসে সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ওই ছাত্র । বেশ কয়েকদিন পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরে জানা যায় ওই ছাত্র করোনা আক্রান্ত হয়েছে ।
আজ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ স্কুল । এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে স্কুলটি । হোলি উৎসবের পরে 30 মার্চ ফের খোলা হতে পারে স্কুল । বন্ধ থাকাকালীন সময়ে চলবে স্কুল জীবাণুমুক্ত করার কাজ । পাশাপাশি, করোনার কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই কোভিড-19 পরীক্ষা করাতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রদের । তবে, যে পরীক্ষা চলছিল তা অনলাইনে চলবে বলে জানাচ্ছেন সুপ্রিয় ধর । তিনি বলেন, "পরীক্ষা আমাদের অনলাইন-অফলাইন দুটো মোডেই চলছিল । এবার অনলাইনে চলবে । লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লস স্কুলে কিছু হয়নি । ওদের যেমন চলছিল তেমন চলবে ।"
গত 12 ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি সব স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য । হচ্ছে সশরীরে ক্লাস । বোর্ড পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি যাচাইয়ে চলছে পরীক্ষাও । তার মধ্যেই কখনও সরকারি, কখনও বেসরকারি স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সংশ্লিষ্ট মহলে । খাস কলকাতাতেই একের পর এক করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসছে ।
আরও পড়ুন : অবস্থান বিক্ষোভের পর এবার নিয়োগের দাবিতে গান হবু শিক্ষকদের
যেমন, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষেই কসবা চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মোট তিন শিক্ষিকা । সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল স্কুল । তারপরে গতকাল জানা যায় কলকাতার একটি নামী বেসরকারি স্কুলে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক শিক্ষক । তারপরেই 29 মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সেন্ট লরেন্স স্কুল কর্তৃপক্ষ । এবার আর শিক্ষক-শিক্ষিকা নয় । কোরোনা আক্রান্ত হল স্কুলের এক ছাত্র ।