কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর : "রাজ্যের টাকা বকেয়া রয়েছে, তাই দিল্লি যাচ্ছি ।" আজ দিল্লি যাওয়ার আগে একথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আজ তিনদিনের দিল্লি সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে তাঁর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করার কথা । দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্যের নাম বদল নিয়েও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ।
এদিকে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি ৷
মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন খবর সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে । প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন মোদির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন মমতা ? কারণ, এর আগে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা সত্ত্বেও তিনি মোদিকে এড়িয়ে গেছেন । এই ক'দিনে পরিস্থিতির কী এমন পরিবর্তন হল? তাই মমতার দিল্লি যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা । BJP সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তাঁকে নিশানা করেছে । BJP-র রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা বলছেন, "রাজীব কুমারকে বাঁচাতে মোদির দরবারে হাজির হচ্ছেন মমতা । মমতা সফরের উদ্দেশ্য চিটফান্ড তদন্ত থেকে নিস্তার পাওয়া । "
এ প্রসঙ্গে CPI(M) নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ওর দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশ্য, পিসি-ভাইপো যেন রেহাই পায় ।" তুলে ধরেন রাজীব কুমার প্রসঙ্গও । অন্যদিকে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাওয়ার পিছনে কারণ হিসেবে কয়েকটি সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান ৷ বলেন, "এর আগে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কলকাতায় মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেছিলেন । এবার হয়তো দিল্লিতে যন্তর মন্তরে গিয়ে ধরনায় বসবেন ৷ কিংবা কারও বাড়িতে চা খাওয়ার নাম করে বা রাজ্যের উন্নয়নের নাম করে কোনও বোঝাপড়া করে আসবেন ৷ তবে আসল কারণ কী সেটা মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারবেন ৷ রাজ্যের উন্নয়নের জন্য যাবেন না কি নিজেকে বাঁচাতে ।"
এর আগে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিলেও ব্যতিক্রম ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । চলতি বছরেও অগাস্টে ডাকা মাওবাদী দমন বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সরকারি বৈঠকে এতদিন অনুপস্থিত থাকলেও হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের উদ্দেশ্য নিয়ে উঠছে বিভিন্ন প্রশ্ন ।