কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি : দক্ষিণ দমদম পৌরসভার সংরক্ষণ তালিকা ঠিক হয়নি । এমনই অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন অরূপ দে নামে এক ব্যক্তি । তাঁর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত 24 ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট নতুন করে সংরক্ষণ তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন । সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । তাদের দাবি, সংরক্ষণে কোনওরকম অন্যায় হয়নি । সিডিউল মেনেই হয়েছে সংরক্ষণ ।
17 জানুয়ারি প্রকাশিত হয় সংরক্ষণ তালিকা । সেই তালিকায় দেখা যায়, দক্ষিণ দমদম পৌরসভার 29 নম্বর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত । অরূপবাবুর বক্তব্য, তিনি ওই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন । কিন্তু, সংরক্ষণের কোপে তিনি প্রার্থী হতে পারেননি । তাঁর অভিযোগ, গত বছরও এই ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল । তবে এবার কীভাবে একই সংরক্ষণের আওতায় আসে ? সংরক্ষণের পুরো প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে- এই অভিযোগ তুলে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন । তাঁর অভিযোগ, সংরক্ষণের এই তালিকার জেরে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন ।
হাইকোর্টে তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, 1994 সালের সংরক্ষণ আইনের 29 ধারা ও 3 উপধারায় এটি সম্পূর্ণ বেআইনি । সবটা শোনার পর হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহা নির্দেশ দেন, নতুন করে সংরক্ষণ তালিকা তৈরি করতে হবে ।
পালটা কমিশনের দাবি, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরের মতো পৌরনিগমগুলির সংরক্ষণ তালিকা নিয়ে ত্রুটি হয়নি এমনটা নয় । সেগুলি নিয়ে সময়মতো অভিযোগ জমা পড়ায় সংরক্ষণ তালিকা নতুন করে তৈরি করা হয়েছে । দক্ষিণ দমদমের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ জমা পড়েছিল । তখন পুরো বিষয়টি খুব ভালো করে খতিয়ে দেখে কমিশন । তাতে দেখা যায়, সিডিউল এবং টার্ম অনুযায়ী সংরক্ষণ সঠিকভাবেই হয়েছে । সেই সূত্রে কমিশন এবার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করতে চলেছে । অর্থাৎ দক্ষিণ দমদম পৌরসভার সংরক্ষণ নিয়ে আইনি জটিলতা অব্যাহত থাকল ।