ETV Bharat / city

কলকাতায় জামিয়ার ছাত্রনেত্রী সোমিয়া, CAA বিরোধী আন্দোলনকে আরও মজবুত করার বার্তা

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন,2019-র প্রতিবাদে ছাত্র সমাবেশ কলকাতায় ৷ উপস্থিত ছিলেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্রনেত্রী সোমিয়া শামল, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেত্রী শ্রেয়া সিং ৷

Student Convention
Student Convention
author img

By

Published : Jan 3, 2020, 5:37 AM IST

কলকাতা, 3 জানুয়ারি : অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (AIDSO) তরফে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল বুধবার। কলেজ স্ট্রিটের কলেজ স্কয়্যারের এই ছাত্র কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া মিলিয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্রনেত্রী সোমিয়া শামল ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেত্রী শ্রেয়া সিং । পড়ুয়াদের উপর পুলিশের আক্রমণের কড়া সমালোচনা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিলেন সোমিয়া ।

বুধবারের কনভেনশন থেকে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেত্রী সোমিয়া শামল বলেন, "13 ডিসেম্বর ওখানকার পড়ুয়ারা একটা সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করেছিল । মিছিল শুরু হওয়ার পরই লাঠিচার্জ করে পুলিশ । 300 জন পড়ুয়াকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় । তারপর ক‍্যাম্পাসের মধ্যে ঢোকে পুলিশ । পড়ুয়াদের সামনে পেয়ে মারধর শুরু করে করে ৷ তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় । এই ঘটনার প্রতিবাদে 14 ডিসেম্বর পড়ুয়াদের একাংশ ক‍্যাম্পাসের ভিতরে বিক্ষোভ দেখায় । পরীক্ষা বয়কটেরও সিদ্ধান্ত নেয় । কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে দেয় । 15 ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ এসে বর্বরতার সঙ্গে লাঠিচার্জ করে। পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে চলে যায় ৷ কিন্তু, তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি । বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে গিয়ে লাইব্রেরিতে যে পড়ুয়ারা ছিল তাদের মারধর করতে থাকে পুলিশ ৷ ভাঙচুর চালানো হয় লাইব্রেরিতে । এমনকি গার্লস হস্টেলে ঢুকে চুল ধরে ছাত্রীদের বাইরে বের করে এনে মারা হয় । তবে এখনও চলছে আমাদের আন্দোলন । এই আন্দোলন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের । তাঁরা দিল্লির ঠান্ডাতেও আন্দোলন চালাচ্ছেন । দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই হচ্ছে এই আন্দোলন । আমরা চাই এই আন্দোলনকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে।"

AIDSO-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মনিশংকর পটনায়েক বলেন, "আমরা একটা ছাত্র কনভেনশনের আয়োজন করেছি । গোটা ভারতবর্ষে NRC ও CAA বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে ৷ সেই ব্যাপক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রসমাজ । দিল্লি ও আমাদের রাজ‍্যসহ গোটা দেশে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে আমাদের সংগঠন । এই আন্দোলনকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে। কারণ, NRC পিছিয়ে দেওয়ার স্থায়ী কোনও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত নেয়নি । এই দীর্ঘ আন্দোলনকে আরও মজবুত করার জন্য আজকের এই কনভেনশন ।"

বুধবার কনভেনশনটি শুরু হয় কলেজ স্ক‍য়্যার বিদ‍্যাসাগরের মূর্তিতে মাল‍্যদান করে। উপস্থিত ছিলেন গায়ক ও গীতিকার প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায়, মানবাধিকারকর্মী সুজাত ভদ্রসহ বিশিষ্টরা ।

কলকাতা, 3 জানুয়ারি : অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (AIDSO) তরফে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল বুধবার। কলেজ স্ট্রিটের কলেজ স্কয়্যারের এই ছাত্র কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া মিলিয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্রনেত্রী সোমিয়া শামল ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেত্রী শ্রেয়া সিং । পড়ুয়াদের উপর পুলিশের আক্রমণের কড়া সমালোচনা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিলেন সোমিয়া ।

বুধবারের কনভেনশন থেকে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেত্রী সোমিয়া শামল বলেন, "13 ডিসেম্বর ওখানকার পড়ুয়ারা একটা সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করেছিল । মিছিল শুরু হওয়ার পরই লাঠিচার্জ করে পুলিশ । 300 জন পড়ুয়াকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় । তারপর ক‍্যাম্পাসের মধ্যে ঢোকে পুলিশ । পড়ুয়াদের সামনে পেয়ে মারধর শুরু করে করে ৷ তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় । এই ঘটনার প্রতিবাদে 14 ডিসেম্বর পড়ুয়াদের একাংশ ক‍্যাম্পাসের ভিতরে বিক্ষোভ দেখায় । পরীক্ষা বয়কটেরও সিদ্ধান্ত নেয় । কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে দেয় । 15 ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ এসে বর্বরতার সঙ্গে লাঠিচার্জ করে। পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে চলে যায় ৷ কিন্তু, তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি । বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে গিয়ে লাইব্রেরিতে যে পড়ুয়ারা ছিল তাদের মারধর করতে থাকে পুলিশ ৷ ভাঙচুর চালানো হয় লাইব্রেরিতে । এমনকি গার্লস হস্টেলে ঢুকে চুল ধরে ছাত্রীদের বাইরে বের করে এনে মারা হয় । তবে এখনও চলছে আমাদের আন্দোলন । এই আন্দোলন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের । তাঁরা দিল্লির ঠান্ডাতেও আন্দোলন চালাচ্ছেন । দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই হচ্ছে এই আন্দোলন । আমরা চাই এই আন্দোলনকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে।"

AIDSO-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মনিশংকর পটনায়েক বলেন, "আমরা একটা ছাত্র কনভেনশনের আয়োজন করেছি । গোটা ভারতবর্ষে NRC ও CAA বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে ৷ সেই ব্যাপক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রসমাজ । দিল্লি ও আমাদের রাজ‍্যসহ গোটা দেশে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে আমাদের সংগঠন । এই আন্দোলনকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে। কারণ, NRC পিছিয়ে দেওয়ার স্থায়ী কোনও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত নেয়নি । এই দীর্ঘ আন্দোলনকে আরও মজবুত করার জন্য আজকের এই কনভেনশন ।"

বুধবার কনভেনশনটি শুরু হয় কলেজ স্ক‍য়্যার বিদ‍্যাসাগরের মূর্তিতে মাল‍্যদান করে। উপস্থিত ছিলেন গায়ক ও গীতিকার প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায়, মানবাধিকারকর্মী সুজাত ভদ্রসহ বিশিষ্টরা ।

Intro:কলকাতা, 2 জানুয়ারি: NRC ও CAA-র প্রতিবাদে আজ অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (AIDSO) তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল একটি ছাত্র সমাবেশের। আজ কলেজ স্ট্রিটে কলেজ স্কোয়ারে এই ছাত্র কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া মিলিয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্র নেত্রী সোমিয়া শামল, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নেত্রী শ্রেয়া সিং। সোমিয়া শামল এদিন জামিয়া মিলিয়াতে পড়ুয়াদের উপর পুলিশ কিভাবে আক্রমণ করে তা তুলে ধরেন তাঁর বক্তব‍্যেং উপস্থিত প্রত‍্যেকের বক্তব্যেই উঠে আসে NRC ও CAA-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা সম্প্রীতির বার্তা।



Body:জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্র নেত্রী সোমিয়া শামল পুলিশের আক্রমণ নিয়ে বলেন, "আপনারা শুনেছেন ওখানে কী রকম ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। ওখানে পড়ুয়ারা 13 ডিসেম্বরে একটা সমাবেশ আয়োজন করেছিল, তারপরে একটা মিছিল কর্মসূচি ছিল। মিছিল শুরুর পরেই পুলিশ খুব বাজেভাবে লাঠিচার্জ করে ও পড়ুয়াদের খুব মারে। 300 পড়ুয়াকে আটক করে নিয়ে যায়। তারপরে ওনারা ক‍্যাম্পাসে আসেন, এসে টিয়ার গ‍্যাস ছুড়ে মারেন। যে পড়ুয়াদের সামনে দেখতে পায় তাঁদেরই মারধর করে পুলিশ ভ‍্যানে তুলে নিয়ে যায়। তারপরেও 14 ডিসেম্বর অনেক পড়ুয়া একত্রিত হয়ে ক‍্যাম্পাসের ভিতরে বিক্ষোভ দেখায়। পড়ুয়ারা পরীক্ষা বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে দেয়। এটা ষড়যন্ত্র ছিল, কারণ যে সকল পড়ুয়া বাইরে থেকে এসেছিলেন, যাঁরা হস্টেলে থাকতেন তাঁরা বাড়ি চলে যায়, আর আন্দোলনের তীব্রতা কিছুটা কম হয়ে যায়। কিন্তু, তাতেও আন্দোলনের তীব্রতা না কমায় 15 ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ এসে বর্বরতার সঙ্গে লাঠিচার্জ করে। পড়ুয়ারা জামিয়ার ভিতরে চলে যায় এই ভেবে যে বাইরে পুলিশ মারবে কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সেফ থাকব। কিন্তু, পুলিশ জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে লাইব্রেরিতে যে পড়ুয়ারা পড়ছিলেন তাঁদের মারেন, টিয়ার গ‍্যাস ছোড়েন, লাইব্রেরির টেবিল-চেয়ার ভাঙা হয়। বাথরুমে ঢুকে পুলিশ পড়ুয়াদের মারে, গার্লস হস্টেলে ঢুকে চুল ধরে ছাত্রীদের বাইরে বের করে এনে মারা হয়।"

সোমিয়া শামল আরও বলেন, "আমাদের আন্দোলন এখনও চলছে। এই আন্দোলন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের। তাঁরা দিল্লির ঠাণ্ডাতেও আসছেন হাজারে হাজারে। এই আন্দোলন দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই হচ্ছে। আমরা চাই এই আন্দোলনকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে যাতে আমরা জয়ী হই।"

AIDSO-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মনিশংকর পট্টনায়ক আজকের কনভেনশন নিয়ে বলেন, "আজকে আমরা একটা ছাত্র কনভেনশনের আয়োজন করেছি। গোটা ভারতবর্ষে NRC ও CAA বিরোধী যে ব্যাপক আন্দোলন হচ্ছে, সেই ব্যাপক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রসমাজ। দেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় খুব সাহসী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্র সমাজ। আমাদের সংগঠন দিল্লি ও আমাদের রাজ‍্যসহ গোটা ভারতবর্ষে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই আন্দোলনকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে। কারণ, NRC পিছিয়ে দেওয়ার স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত নেয়নি। এই দীর্ঘ আন্দোলনকে আরও সংহত করার জন্য আজকের এই কনভেনশন। এই কনভেনশনে দিল্লি থেকেও আমাদের ছাত্র নেত্রীরা এসেছেন। প্রতুল মুখোপাধ্যায় বক্তব্য রাখলেন, সুজাত ভদ্র বক্তব্য রাখলেন।"

আজ AIDSO দ্বারা আয়োজিত ছাত্র কনভেনশনটি শুরু হয় কলেজ স্ক‍্যয়ারে বিদ‍্যাসাগরের মূর্তিতে মাল‍্যদান করে। কনভেনশনে সংগঠনের নেতৃত্ব ও সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত গায়ক ও গীতিকার প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায়, মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্রের মতো বিশিষ্টজনেরা। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে বিজেপির বিরুদ্ধে ব‍্যাঙ্গ ও বিদ্বেষ। তিনি বিজেপিকে ব‍্যাঙ্গ করে বলেন, "বদ এবং জালিয়াত পার্টি"। কনভেনশন শেষে দুটি মিছিল করেন অংশগ্রহণকারীরা আগামী 8 জানুয়ারি ছাত্র ধর্মঘটের সমর্থনে। একটি মিছিল ধর্মতলার দিকে ও একটি শিয়ালদহের দিকে যায়।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.