ETV Bharat / city

পেশা হিসেবে গৃহশিক্ষকতাকে স্বীকৃতির দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ সংগঠন

গৃহশিক্ষকতাকে পেশাগত স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি ৷

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সংগঠনের মুখপাত্র
author img

By

Published : Aug 1, 2019, 12:31 PM IST

কলকাতা, 1 অগাস্ট : গৃহশিক্ষকতাকে পেশাগত স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি ৷ পাশাপাশি, সরকারি আইনকে মান্যতা দিয়ে অবিলম্বে সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ফোরাম ৷

পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্য মুখপাত্র সোহম ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা গৃহশিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিতে চাই ৷ এই পেশার একটা স্বীকৃতির দাবি করছি ৷ তবে সেটা তখনই সম্ভব, যখন আইন মেনে স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করা হবে ৷ আমরা কোনও সরকারি চাকরি, সহায়তা বা অনুদান কোনওটাই চাইছি না ৷ বহুদিন ধরেই লক্ষ্য করছি, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এবং কলকাতায় বিভিন্ন সরকারি, সরকার পোষিত এবং বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আইন ভেঙে গৃহশিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন গৃহশিক্ষক সংগঠনের রাজ্য মুখপাত্রের বক্তব্য

আরও পড়ুন : বেতন বৃদ্ধি ও বদলি প্রত্যাহারের পর অনশন তুললেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

গতকাল বৈঠকের পর সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী আবারও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন ৷ ভবিষ্যতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, SSC, শিক্ষাদপ্তর ও গৃহশিক্ষকদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ RTE অ্যাক্ট 2009-র সেকশন 28 অনুযায়ী স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করা হয় ৷ 2018-র 8 মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষাদপ্তর জানিয়ে দেয়, পশ্চিমবঙ্গের কোনও স্কুলে কর্মরত কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা গৃহশিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না ৷ কিন্তু সেই সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি ৷ বিভিন্ন জেলা শহরে, গ্রামাঞ্চলে এবং কলকাতার বুকেও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা গৃহশিক্ষকতার সঙ্গে এখনও যুক্ত ৷ তাই গৃহশিক্ষকতাকে পেশার স্বীকৃতির দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ৷

কলকাতা, 1 অগাস্ট : গৃহশিক্ষকতাকে পেশাগত স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি ৷ পাশাপাশি, সরকারি আইনকে মান্যতা দিয়ে অবিলম্বে সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ফোরাম ৷

পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্য মুখপাত্র সোহম ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা গৃহশিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিতে চাই ৷ এই পেশার একটা স্বীকৃতির দাবি করছি ৷ তবে সেটা তখনই সম্ভব, যখন আইন মেনে স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করা হবে ৷ আমরা কোনও সরকারি চাকরি, সহায়তা বা অনুদান কোনওটাই চাইছি না ৷ বহুদিন ধরেই লক্ষ্য করছি, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এবং কলকাতায় বিভিন্ন সরকারি, সরকার পোষিত এবং বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আইন ভেঙে গৃহশিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন গৃহশিক্ষক সংগঠনের রাজ্য মুখপাত্রের বক্তব্য

আরও পড়ুন : বেতন বৃদ্ধি ও বদলি প্রত্যাহারের পর অনশন তুললেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

গতকাল বৈঠকের পর সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী আবারও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন ৷ ভবিষ্যতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, SSC, শিক্ষাদপ্তর ও গৃহশিক্ষকদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ RTE অ্যাক্ট 2009-র সেকশন 28 অনুযায়ী স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করা হয় ৷ 2018-র 8 মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষাদপ্তর জানিয়ে দেয়, পশ্চিমবঙ্গের কোনও স্কুলে কর্মরত কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা গৃহশিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না ৷ কিন্তু সেই সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি ৷ বিভিন্ন জেলা শহরে, গ্রামাঞ্চলে এবং কলকাতার বুকেও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা গৃহশিক্ষকতার সঙ্গে এখনও যুক্ত ৷ তাই গৃহশিক্ষকতাকে পেশার স্বীকৃতির দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ৷

Intro:কলকাতা, 31 জুলাই: গৃহ শিক্ষকতাকে দেওয়া হোক পেশাগত স্বীকৃতি। এই দাবি নিয়ে আজ শিক্ষা মন্ত্রী দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের গৃহ শিক্ষকদের ফোরাম পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। এই দাবি ছাড়াও তাঁদের আর একটি প্রধান দাবি, সরকারি আইনকে মান্যতা দিয়ে অবিলম্বে সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গৃহ শিক্ষকতা বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। গৃহ শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, শিক্ষামন্ত্রী আবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গৃহ শিক্ষকতা বন্ধ করার জন্য‌। আর ভবিষ্যতে মধ‍্যশিক্ষা পর্ষদ, স্কুল সার্ভিস কমিশন, শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে গৃহ শিক্ষকদের একসঙ্গে বসে বৈঠকেরও আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।


Body:নিজেদের দাবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্যের মুখপাত্র সোহম ভট্টাচার্য বলেন, " পশ্চিমবঙ্গের এই যে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ চিৎকার করে বলছেন আমরা গৃহশিক্ষকতা কে পেশা হিসেবে নিতে চাই। এই পেশার একটা স্বীকৃতির দাবি আমরা করছি। সেটা তখনই সম্ভব যখন আইন মেনে স্কুল শিক্ষকদের গৃহ শিক্ষকতা বন্ধ হবে।" বর্তমানে সারা পশ্চিমবঙ্গে 20 থেকে 25 লক্ষ গৃহশিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে 25-30 হাজার সদস‍্য তাঁদের সমিতিতে রয়েছেন বলছ জানাচ্ছেন সোহম ভট্টাচার্য।

স্কুল শিক্ষকদের গৃহ শিক্ষকতার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্যের মুখপাত্র সোহম ভট্টাচার্য বলেন, "সারা পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর শিক্ষিত উচ্চশিক্ষিত যুবক-যুবতী ও ব্যক্তিবর্গ আছেন যারা নির্দিষ্ট একটি পেশার মধ‍্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই পেশাটির নাম হল গৃহ শিক্ষকতা। আমরা এই গৃহ শিক্ষকতা পেশার মধ্যে দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিবর্গ যখন এই পেশাটা কে আকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে চাইছেন এবং সরকারকে বার্তা দিতে চাইছেন যে, আমরা কোনও সরকারি চাকরি, সহায়তা বা অনুদান কিছু চাই না। তখন একটা অন্তরায় বা বাধার আমরা সম্মুখীন হচ্ছি। বহুদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এবং কলকাতায় বিভিন্ন সরকারি, সরকার পোষিত এবং বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আইন ভেঙে গৃহ শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।"

সোহম ভট্টাচার্য আরও বলেন, "আমরা জানি RTE অ্যাক্ট 2009-এর সেকশন 28 নিষেধ করে স্কুল টিচারদের গৃহ শিক্ষকতার ক্ষেত্রে। এর আগেও আমরা শিক্ষা দপ্তরের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলাম 2017 সালে সেপ্টেম্বর মাসে। এবং 2018 সালের 8 মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষাদপ্তর জানিয়ে দেয়, পশ্চিমবঙ্গের কোনও স্কুলে কর্মরত কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা গৃহ শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। কিন্তু বাস্তবে সেই সরকারি নির্দেশ কাগজে লেখা কাগজ হয়েই রয়ে যায়। বিভিন্ন জেলা শহর গুলিতে গ্রামাঞ্চলে এবং কলকাতার বুকেও যে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা গৃহশিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছি। কিন্তু, কোনোরকম অ্যাকশান আমরা নিতে দেখিনি। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে একটাই দাবি রাখব যে, সরকার আমাদের কথা ভেবে সরকার যে আইন প্রণয়ন করেছে সেগুলোর ইমপ্লিমেন্টেশন হোক‌।"




Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.