ETV Bharat / city

Call for Partha removal: মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগেই চাপ বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর উপর, দলের অন্দরে পার্থকে সরানোর দাবি

মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়ছে (Pressure mounts on Mamata Banerjee)৷ কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Call for Partha removal) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে দলের অন্দরেই ৷

Pressure mounts on Mamata Banerjee for removal of Partha Chatterjee before Cabinet meeting
মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগেই চাপ বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর উপর, দলের অন্দরে পার্থকে সরানোর দাবি
author img

By

Published : Jul 28, 2022, 1:47 PM IST

কলকাতা, 28 জুলাই: আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে নবান্নে । মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) নিয়ে চাপ বাড়ছে সরকারের । দলের তরফ থেকে এখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মহাসচিব পদ বা মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি (Call for Partha removal)। কিন্তু দলেরই একাধিক ছোট-বড় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরানো নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন (Pressure mounts on Mamata Banerjee)।

এই তালিকায় সবার সম্মুখে যাঁর নাম থাকবে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । আগেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, যেভাবে একের পর এক জায়গা থেকে টাকা উদ্ধার হচ্ছে, যেভাবে তার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়াচ্ছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তিনি । এ দিন দলের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে সেই কুণালেরই প্রতিক্রিয়া, কেন এই অবস্থায় দলীয় পদ এবং মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে না পার্থকে ? এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লিখেছেন, মন্ত্রিত্ব এবং সমস্ত দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত পার্থকে । একইসঙ্গে কুণাল ঘোষের দাবি, দলের অধিকার রয়েছে এই বক্তব্য ভুল হলে তাঁকে সমস্ত পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার । তাঁর কথায়, "প্রয়োজনে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসেবে থাকব ।"

প্রসঙ্গত কুণাল ঘোষ যখন এ ধরনের বক্তব্য রাখছেন, তখন জেরায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন, এই সমস্ত টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের । সেই প্রসঙ্গ তুলে কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দলের প্রথম দিনের অবস্থানের মধ্যে তিনি কোনও দোষ দিচ্ছেন না । কারণ আগামীতে কী ঘটবে সে সম্পর্কে দলের পক্ষে আগাম অনুমান করা সম্ভব নয় । তাঁর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েও একবারও বলছেন না তিনি নির্দোষ । তিনি তো বলতে পারতেন মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে যে টাকা পাওয়া গিয়েছে তিনি সে ব্যাপারে নির্দোষ ৷ তাঁকে অহেতুক হেনস্থা করা হচ্ছে । কাজেই তাঁর নীরবতা দলের জন্য অস্বস্তির কারণ হচ্ছে । তিনি এটা বলতে পারছেন, কাকে কতবার ফোন করেছেন ? তিনি কেন মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন ! তবে কেন বলছেন না, তাঁর সঙ্গে এই সমস্ত অভিযোগের কোনও যোগ নেই । কাজেই দলের এই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন কুণাল ।

আরও পড়ুন: পার্থকে নিয়ে টুইট সরালেন কুণাল, বিকেলে বৈঠকে তৃণমূল শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি

একইভাবে এ দিন সরব হয়েছেন দলের আরেক যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য । টুইটারে তিনি লিখেছেন, ঠাকুমা বলতেন, ফোঁড়া যখন পুঁজে ভরে এসেছে, অনতিবিলম্বে তাকে ফাটিয়ে দেওয়াই শ্রেয় । শরীর ভালো থাকে, শান্তিতে ঘুমানো যায় । একটি ফোঁড়ার জন্য গোটা শরীরকে কষ্ট দেওয়া বৃথা । দেবাংশুর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কুণাল ঘোষের মতকে সমর্থন করেছেন । এ দিন তিনি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের যে বেশিরভাগ কর্মী সততার সঙ্গে দল করেন তাঁদের আজকে একটা অস্বস্তির পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে । যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, যাঁরা ভালোবেসে দলটা করছেন, তাঁরা কেন অকারণ এই কালির দাগ নিতে যাবেন বলুন তো । এই দুর্নীতি যদি কেউ করে থাকেন, সেটা তো ব্যক্তিগত । তাহলে তার দায়ও তাঁকে নিজেকে নিতে হবে । কথাটা দলগত ভাবে বারবার বলা হয়েছে । এ ক্ষেত্রে যাঁকে নিয়ে অভিযোগ, তিনি দোষী কি দোষী নন, সেটা আগামী দিনে আদালত বিচার করবে । আমার মনে হয়, যতদিন পর্যন্ত তিনি নির্দোষ প্রমাণিত না হন, ততদিন তাঁকে যদি সরিয়ে দেওয়া যায়, এই অস্বস্তি থেকে দলীয় কর্মীদের মুক্তি দেওয়া যাবে ।"

কলকাতা, 28 জুলাই: আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে নবান্নে । মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) নিয়ে চাপ বাড়ছে সরকারের । দলের তরফ থেকে এখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মহাসচিব পদ বা মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি (Call for Partha removal)। কিন্তু দলেরই একাধিক ছোট-বড় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরানো নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন (Pressure mounts on Mamata Banerjee)।

এই তালিকায় সবার সম্মুখে যাঁর নাম থাকবে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । আগেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, যেভাবে একের পর এক জায়গা থেকে টাকা উদ্ধার হচ্ছে, যেভাবে তার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়াচ্ছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তিনি । এ দিন দলের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে সেই কুণালেরই প্রতিক্রিয়া, কেন এই অবস্থায় দলীয় পদ এবং মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে না পার্থকে ? এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লিখেছেন, মন্ত্রিত্ব এবং সমস্ত দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত পার্থকে । একইসঙ্গে কুণাল ঘোষের দাবি, দলের অধিকার রয়েছে এই বক্তব্য ভুল হলে তাঁকে সমস্ত পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার । তাঁর কথায়, "প্রয়োজনে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসেবে থাকব ।"

প্রসঙ্গত কুণাল ঘোষ যখন এ ধরনের বক্তব্য রাখছেন, তখন জেরায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন, এই সমস্ত টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের । সেই প্রসঙ্গ তুলে কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দলের প্রথম দিনের অবস্থানের মধ্যে তিনি কোনও দোষ দিচ্ছেন না । কারণ আগামীতে কী ঘটবে সে সম্পর্কে দলের পক্ষে আগাম অনুমান করা সম্ভব নয় । তাঁর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েও একবারও বলছেন না তিনি নির্দোষ । তিনি তো বলতে পারতেন মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে যে টাকা পাওয়া গিয়েছে তিনি সে ব্যাপারে নির্দোষ ৷ তাঁকে অহেতুক হেনস্থা করা হচ্ছে । কাজেই তাঁর নীরবতা দলের জন্য অস্বস্তির কারণ হচ্ছে । তিনি এটা বলতে পারছেন, কাকে কতবার ফোন করেছেন ? তিনি কেন মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন ! তবে কেন বলছেন না, তাঁর সঙ্গে এই সমস্ত অভিযোগের কোনও যোগ নেই । কাজেই দলের এই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন কুণাল ।

আরও পড়ুন: পার্থকে নিয়ে টুইট সরালেন কুণাল, বিকেলে বৈঠকে তৃণমূল শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি

একইভাবে এ দিন সরব হয়েছেন দলের আরেক যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য । টুইটারে তিনি লিখেছেন, ঠাকুমা বলতেন, ফোঁড়া যখন পুঁজে ভরে এসেছে, অনতিবিলম্বে তাকে ফাটিয়ে দেওয়াই শ্রেয় । শরীর ভালো থাকে, শান্তিতে ঘুমানো যায় । একটি ফোঁড়ার জন্য গোটা শরীরকে কষ্ট দেওয়া বৃথা । দেবাংশুর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কুণাল ঘোষের মতকে সমর্থন করেছেন । এ দিন তিনি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের যে বেশিরভাগ কর্মী সততার সঙ্গে দল করেন তাঁদের আজকে একটা অস্বস্তির পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে । যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, যাঁরা ভালোবেসে দলটা করছেন, তাঁরা কেন অকারণ এই কালির দাগ নিতে যাবেন বলুন তো । এই দুর্নীতি যদি কেউ করে থাকেন, সেটা তো ব্যক্তিগত । তাহলে তার দায়ও তাঁকে নিজেকে নিতে হবে । কথাটা দলগত ভাবে বারবার বলা হয়েছে । এ ক্ষেত্রে যাঁকে নিয়ে অভিযোগ, তিনি দোষী কি দোষী নন, সেটা আগামী দিনে আদালত বিচার করবে । আমার মনে হয়, যতদিন পর্যন্ত তিনি নির্দোষ প্রমাণিত না হন, ততদিন তাঁকে যদি সরিয়ে দেওয়া যায়, এই অস্বস্তি থেকে দলীয় কর্মীদের মুক্তি দেওয়া যাবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.