কলকাতা, 18 জুলাই: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমজমাট রাজ্য বিধানসভা ৷ তবে, শুধু নির্বাচন নয়, বিতর্কেও জমজমাট বিধানসভার অলিন্দ (Cross Voting Controversy of Presidential Election in State Assembly) ৷ গতকাল থেকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আবহে আলোচনায় উঠে এসেছে বিজেপি বিধায়কদের হোটেল সংস্কৃতি ৷ যেভাবে ক্রস ভোটিং রুখতে তড়িঘড়ি বিজেপি বিধায়কদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রী ৷
এ দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলাকালীন যার বিরোধিতা করে টুইট পর্যন্ত করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ওই টুইট বার্তায় অভিষেক লিখেছেন, ‘‘কর্মের কোনও মেনু নেই ৷ আপনার যা প্রাপ্য, তা আপনি পরিবেশন করেন ৷ বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে সর্বদা জনগণের শক্তির কাছে মাথা নত করতে হবে ৷’’
এমনকী ওই টুইটে বিজেপির ‘রিসর্ট পলিটিক্স’ নিয়ে ঠাট্টাও করেন অভিষেক ৷ লেখেন, ‘‘হাস্যকর লাগছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিধায়কদের বন্দি করার পরিবর্তে, বিজেপির ‘রিসর্ট পলিটিক্স’ তাদের উপরেই ভারী পড়ল ! সত্যিই, বাংলা রাস্তা দেখাল ৷’’
বিধানসভায় ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের সংসদ মহুয়া মৈত্রের গলায় ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, ‘‘এতদিন বিজেপি অন্য দলের বিধায়কদের হোটেলে রেখে বিধায়ক কেনাবেচা করত ৷ এখন নিজের দলের বিধায়কদের প্রতিও আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না ৷ আর সে কারণেই তাঁদের হোটেলে নিয়ে যেতে হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: Presidential Election 2022: লড়াইয়ে 'বিজেপি' বনাম 'প্রাক্তন বিজেপি'! রাইসিনা হিলসের কুর্সি কার ?
যদিও, বিজেপি নেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘কোনও অবিশ্বাস নয় ৷ বরং সকলে একসঙ্গে উৎসবের মেজাজে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যোগদান করার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৷’’ বিজেপির আরেক বিধায়ক বলেন, ‘‘শাসক দলের বিজেপির কথা না ভেবে, নিজের ঘর সামলানোর কথা ভাবা উচিত ৷ কারণ দিনের শেষে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেবেন অনেক তৃণমূল বিধায়ক ৷ মোটের উপর একদিকে ভারতের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলছে ৷ আর অন্যদিকে, একই সঙ্গে চড়ছে শাসক-বিরোধী তরজার পারদও ৷ কোনওভাবেই ক্রস ভোটিং বিতর্ক থামছে না রাজ্য বিধানসভায় ৷