কলকাতা, 21 মে: বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত- গোটা শহরটাকে যেন দুমড়ে মুচড়ে তছনছ করে দিয়ে গিয়েছে আমফান ৷ যেদিকেই চোখ যায়, সাইক্লোনের তীব্রতা যে কত ছিল তা দেখা পাওয়া যাবে ৷ গাছ পড়েছে, রাস্ত বন্ধ, ভেঙে পড়েছে হোর্ডিং, সিগন্যাল পোস্ট ৷ এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ক্ষতচিহ্ন ৷
যদুবাবু বাজার চত্বরে গাছ পড়েছে গাড়ির উপরে গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হরিশ মুখার্জি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ সহ দুই কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ ঝড়ের দাপটে ছিড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার ৷ গতকাল রাত থেকেই অন্ধকারে ডুবে শহর ৷
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে 10-12 দিন লেগে যাবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাত থেকেই গাছ কেটে রাস্তা পরিস্কারের কাজে নেমেছে NDRF ও পৌরকর্মীরা ৷
বাঘাযতীন রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, সার্দান অ্যাভিনিউ, লেক গার্ডেনস ও যশোর রোডে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা ৷ দেশপ্রিয় পার্কেও ভেঙে পড়েছে গাছ ৷
আমফানের প্রভাবে তুমুল বৃষ্টি হওয়ায় AJC বোস রোড ফ্লাইওভারের উপরেও জমেছে জল ৷ জল জমেছে পার্ক সার্কাস কানেক্টরের রাস্তায় ৷
অন্যদিকে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে পাতিপুকুর আন্ডারপাসও ৷
গতরাতে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে আমফানের জেরে শহরে দুইজনের মৃত্যুর সংবাদ দেওয়া হয় ৷ রিজেন্ট পার্কে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির পাঁচিলে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে মা ও ছেলের ৷ অন্যদিকে আজ সকালে বেহালা পর্ণশ্রী থানা এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন এক যুবক ৷
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গাছ ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আশেপাশের বাড়ি ও রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা বাস এবং গাড়ি ৷
ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে শহরকে সচল করার চেষ্টায় ব্যস্ত পৌরকর্মীরা, তাদের সহযোগিতা করছেন কলকাতা পুলিশ ৷ রাত থেকেই কাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল । ক্ষতির পরিমাণ বিপুল হওয়ায় উদ্ধারকার্য শেষ করে পরিস্থিতি কখন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, তা এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না ।