কলকাতা, 16 জুন : কোরোনা সংক্রমণ রোধে বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ । কবে থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কেউ জানে না । অথচ ,জারি রাখতে হবে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের অভ্যাস ৷ সেই কারণেই কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের অনুমোদনে চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাস ৷ তবে, এই সিদ্ধান্তের পর শুরু হয় জল্পনা ৷ অভিযোগ ,পরিকাঠামো না করেই অনলাইনে ক্লাস চালু হওয়ায় বিপর্যস্ত দেশ থেকে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা । বিশেষ করে বিপর্যস্ত দেশের প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়ারা । নতুন শিক্ষানীতির কারণে কতজন পড়ুয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছে তার সঠিক তথ্য জানতে দেশজুড়ে যৌথভাবে সমীক্ষা চালায় একটি বেসরকারি সমীক্ষা সংস্থা এবং সর্বভারতীয় থেকে রাজ্যের বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি । সেই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে দেশের প্রায় 70 ভাগ পড়ুয়ার কাছে স্মার্টফোন নেই ৷ তারপর থেকে এই শিক্ষানীতির বিরোধিতায় নামে বিরোধী সংগঠনগুলি ৷
কোরোনা আবহে দেশের পড়ুয়াদের পড়ার মানকে ঠিক রাখতে চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাস ৷ আর এর জন্য নূন্যতম প্রয়োজনীয় জিনিসটি হল একটি স্মার্টফোন । তবে, পরিসংখ্যান বলছে দেশের প্রায় 70% পড়ুয়া স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে না । মাত্র 30% পড়ুয়া স্মার্টফোন ব্যবহার করতে অভ্যস্ত । এই 70 ভাগ লোক রয়েছেন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ৷ যেখানে স্মার্ট ফোনের ব্যবহার নেই ৷ পরিসংখ্যানটি দেখে উদ্বিগ্ন দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের 23 টা রাজ্যের বিরোধীদলের ছাত্রসংগঠনগুলি ।
বিষয়টি নিয়ে SFI-র রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "অনলাইনে কাজ করতে গেলে ইন্টারনেটের সংযোগ থাকা জরুরি । দেশ এবং রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল ইন্টারনেট পরিষেবা । কৃষিজীবী পরিবারের পড়ুয়ারা কিভাবে খরচ সাপেক্ষে পড়াশোনা করবে? নুন আনতে পান্তা ফুরায় যাদের, তারা কীভাবে স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইনে পড়াশোনা করবে, সেই বিষয়টি ভেবে দেখেনি দেশ এবং রাজ্য সরকার ।" এছাড়া ক্ষোভের সঙ্গে একই কথা জানালেন কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠনের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ ৷ তিনি বলেন , "সরকার আসলে পড়াশোনার সুযোগ থেকে গরিব পড়ুয়াদের বঞ্চিত করতে চায় । সেই কারণেই ষড়যন্ত্র করছে । স্মার্টফোন, অনলাইন এই শব্দগুলি এখনও বহু দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়ারা জানেনা বা দেখেনি । অনলাইনে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হওয়া মানে তাদের সঙ্গে বঞ্চনা করা । "