ETV Bharat / city

শোভনবাবু বলেন বেঁচে থাকার জন্য রাজনীতি করা জরুরি নয় : বৈশাখি

আজ ETV ভারতকে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "BJP-র সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এসেছি । তৃণমূলও আমাকে শাখা সংগঠনের পদ থেকে সরিয়েছে । সেখান থেকে তৃণমূলের সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক নেই । শোভনবাবু আমাকে একটা কথা বলেন, বেঁচে থাকতে হলে লোককে রাজনীতি করতে হবে তা তো নয় ।  রাজনীতির আঙিনায় গিয়ে পরিচিত হওয়ার থেকে মহৎ হয়ে বেঁচে থাকাটা অনেক জরুরি।"

Shovon Baishakhi
বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By

Published : Dec 9, 2019, 11:25 PM IST

কলকাতা, 9 ডিসেম্বর : বেশ কিছু দিন রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু কেন রাজনীতি থেকে দূরে তাঁরা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই রীতিমতো কৌতূহল তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে । ব্যক্তিগতভাবে BJP এবং তৃণমূলের থেকে বর্তমানে সমদূরত্ব বজায় রেখেই চলেছেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আজ ETV ভারতকে এমনই জানালেন তিনি । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, " শোভনবাবু আমাকে একটা কথা বলেন, বেঁচে থাকতে হলে লোককে রাজনীতি করতে হবে, তা নয় । রাজনীতির আঙিনায় গিয়ে পরিচিত হওয়ার থেকে মহৎ হয়ে বেঁচে থাকা অনেক জরুরি ।"

14 অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে BJP-তে যোগদান করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু মাত্র অল্প কিছুদিনের ব্যবধানেই ছন্দ পতন ঘটে । তাঁদের BJP-র সঙ্গ ত্যাগ করার কথা শোনা যায় । এরপর নাটকীয় ভাবে বৈশাখিকে সঙ্গে নিয়ে কালীঘাটে 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেন শোভনবাবু । ভাইফোঁটার দিনের সেই ছবিতে শাসক শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব কমছে বলেই মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল ৷ কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে নীরব শোভন ও বৈশাখি । বলা যায়, একপ্রকার রাজনীতি থেকে দূরে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা ।

এ প্রসঙ্গে আজ ETV ভারতকে বৈশাখি বলেন, "BJP-র সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এসেছি । তৃণমূলও আমাকে শাখা সংগঠনের পদ থেকে সরিয়েছে । সেখান থেকে তৃণমূলের সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক নেই । শোভনবাবু আমাকে একটা কথা বলেন, বেঁচে থাকতে হলে লোককে রাজনীতি করতে হবে তা তো নয় । রাজনীতির আঙিনায় গিয়ে পরিচিত হওয়ার থেকে মহৎ হয়ে বেঁচে থাকাটা অনেক জরুরি।"

আরও পড়ুন : বৈশাখিকে ফোন পার্থর, হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই মিল্লি আল আমিন কলেজের টিচার ইনচার্জের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি ৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েও দেন ৷ সেইরাতেই শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানান বৈশাখি । হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী । পাশাপাশি তাঁকে লড়াইও চালিয়ে যাওয়ার বার্তাও দেন পার্থবাবু । কিন্তু তাঁর সেই ইস্তফাপত্র গ্রহন হয়েছে কি না সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি ৷

কলকাতা, 9 ডিসেম্বর : বেশ কিছু দিন রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু কেন রাজনীতি থেকে দূরে তাঁরা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই রীতিমতো কৌতূহল তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে । ব্যক্তিগতভাবে BJP এবং তৃণমূলের থেকে বর্তমানে সমদূরত্ব বজায় রেখেই চলেছেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আজ ETV ভারতকে এমনই জানালেন তিনি । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, " শোভনবাবু আমাকে একটা কথা বলেন, বেঁচে থাকতে হলে লোককে রাজনীতি করতে হবে, তা নয় । রাজনীতির আঙিনায় গিয়ে পরিচিত হওয়ার থেকে মহৎ হয়ে বেঁচে থাকা অনেক জরুরি ।"

14 অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে BJP-তে যোগদান করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু মাত্র অল্প কিছুদিনের ব্যবধানেই ছন্দ পতন ঘটে । তাঁদের BJP-র সঙ্গ ত্যাগ করার কথা শোনা যায় । এরপর নাটকীয় ভাবে বৈশাখিকে সঙ্গে নিয়ে কালীঘাটে 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেন শোভনবাবু । ভাইফোঁটার দিনের সেই ছবিতে শাসক শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব কমছে বলেই মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল ৷ কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে নীরব শোভন ও বৈশাখি । বলা যায়, একপ্রকার রাজনীতি থেকে দূরে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা ।

এ প্রসঙ্গে আজ ETV ভারতকে বৈশাখি বলেন, "BJP-র সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এসেছি । তৃণমূলও আমাকে শাখা সংগঠনের পদ থেকে সরিয়েছে । সেখান থেকে তৃণমূলের সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক নেই । শোভনবাবু আমাকে একটা কথা বলেন, বেঁচে থাকতে হলে লোককে রাজনীতি করতে হবে তা তো নয় । রাজনীতির আঙিনায় গিয়ে পরিচিত হওয়ার থেকে মহৎ হয়ে বেঁচে থাকাটা অনেক জরুরি।"

আরও পড়ুন : বৈশাখিকে ফোন পার্থর, হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই মিল্লি আল আমিন কলেজের টিচার ইনচার্জের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি ৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েও দেন ৷ সেইরাতেই শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানান বৈশাখি । হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী । পাশাপাশি তাঁকে লড়াইও চালিয়ে যাওয়ার বার্তাও দেন পার্থবাবু । কিন্তু তাঁর সেই ইস্তফাপত্র গ্রহন হয়েছে কি না সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি ৷

Intro:কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর: বেশ কিছু দিন যাবত অন্তরালে রয়েছেন শোভন চ্যাটার্জি এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জি। কেনও অন্তরালে তাঁরা ! এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই রীতিমতো কৌতূহল তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপি এবং তৃণমূলের সঙ্গে সম দুরত্ব রেখে চলেছেন বলেই আজ ইটিভি ভারতকে জানালেন বৈশাখী ব্যানার্জি । এ প্রসঙ্গে তিনি অকপটে বলেন, " শোভন বাবু আমাকে একটা কথা বলেন বেঁচে থাকতে হলে লোককে রাজনীতি করতে হবে তা তো নয়। মহত হয়ে বেঁচে থাকাটা অনেক জরুরি" রাজনীতির আঙিনায় গিয়ে পরিচিত হওয়ার থেকে।"


Body:
গত ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শোভন চ্যাটার্জি এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জি । কিন্তু মাত্র অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানেই ছন্দ পতন ঘটেছিল । বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন শোভন ও বৈশাখী । এর পর গত মঙ্গলবার নাটকীয় ভাবে বৈশাখী ব্যানার্জিকে সঙ্গে নিয়ে কালীঘাটে 'দিদি' মমতা ব্যানার্জির কাছ থেকে ভাইফোটা নিয়েছেন শোভন চ্যাটার্জি । এর ফল স্বরূপ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ফিরে পেয়েছেন তিনি । এই ঘটনার পর থেকেই শোভন ও বৈশাখীর ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে তৃণমূল কর্মী - সমর্থকদের একাংশ । কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশ নীরব তাঁরা । বলা যায় একপ্রকার অন্তরালে দিন কাটাচ্ছেন শোভন এবং বৈশাখী । এ প্রসঙ্গে আজ ইটিভি ভারতকে বৈশাখী ব্যানার্জি বলেন, "বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এসেছি । তৃণমূলও আমাকে শাখা সংগঠনের পদ থেকে সরিয়েছে । সেখান থেকে তৃণমূলের সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক নেই । শোভন বাবু আমাকে একটা কথা বলেন বেঁচে থাকতে হলে লোককে রাজনীতি করতে হবে তা তো নয়। মহত হয়ে বেঁচে থাকাটা অনেক জরুরি রাজনীতির আঙিনায় গিয়ে পরিচিত হওয়ার থেকে।"


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.