কলকাতা, 9 ডিসেম্বর : বেশ কিছু দিন রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু কেন রাজনীতি থেকে দূরে তাঁরা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই রীতিমতো কৌতূহল তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে । ব্যক্তিগতভাবে BJP এবং তৃণমূলের থেকে বর্তমানে সমদূরত্ব বজায় রেখেই চলেছেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আজ ETV ভারতকে এমনই জানালেন তিনি । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, " শোভনবাবু আমাকে একটা কথা বলেন, বেঁচে থাকতে হলে লোককে রাজনীতি করতে হবে, তা নয় । রাজনীতির আঙিনায় গিয়ে পরিচিত হওয়ার থেকে মহৎ হয়ে বেঁচে থাকা অনেক জরুরি ।"
14 অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে BJP-তে যোগদান করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু মাত্র অল্প কিছুদিনের ব্যবধানেই ছন্দ পতন ঘটে । তাঁদের BJP-র সঙ্গ ত্যাগ করার কথা শোনা যায় । এরপর নাটকীয় ভাবে বৈশাখিকে সঙ্গে নিয়ে কালীঘাটে 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেন শোভনবাবু । ভাইফোঁটার দিনের সেই ছবিতে শাসক শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব কমছে বলেই মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল ৷ কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে নীরব শোভন ও বৈশাখি । বলা যায়, একপ্রকার রাজনীতি থেকে দূরে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা ।
এ প্রসঙ্গে আজ ETV ভারতকে বৈশাখি বলেন, "BJP-র সঙ্গে সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এসেছি । তৃণমূলও আমাকে শাখা সংগঠনের পদ থেকে সরিয়েছে । সেখান থেকে তৃণমূলের সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক নেই । শোভনবাবু আমাকে একটা কথা বলেন, বেঁচে থাকতে হলে লোককে রাজনীতি করতে হবে তা তো নয় । রাজনীতির আঙিনায় গিয়ে পরিচিত হওয়ার থেকে মহৎ হয়ে বেঁচে থাকাটা অনেক জরুরি।"
আরও পড়ুন : বৈশাখিকে ফোন পার্থর, হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই মিল্লি আল আমিন কলেজের টিচার ইনচার্জের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি ৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েও দেন ৷ সেইরাতেই শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানান বৈশাখি । হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী । পাশাপাশি তাঁকে লড়াইও চালিয়ে যাওয়ার বার্তাও দেন পার্থবাবু । কিন্তু তাঁর সেই ইস্তফাপত্র গ্রহন হয়েছে কি না সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি ৷