ETV Bharat / city

NIA : চার জেলার কিছু যুবকের পাক-জঙ্গি যোগ, তদন্তে এনআইএ

রাজ্যের চার জেলায় পাক-জঙ্গি যোগের সূত্র পেয়েছে এনআইএ ৷ তা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে নেমেছে ৷ গোয়েন্দাদের দাবি, লকডাউনে বেকারত্বের সুযোগে অনেক যুবক-যুবতীকে ভুল পথে চালনা করছে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলি ৷ তারা এরাজ্যেও তাদের জাল বিস্তার করছে ৷

পাকযোগ চার জেলার বিশেষ সম্প্রদায়ের কিছু যুবকের, তদন্তে এনআইএ
পাকযোগ চার জেলার বিশেষ সম্প্রদায়ের কিছু যুবকের, তদন্তে এনআইএ
author img

By

Published : Aug 7, 2021, 7:20 PM IST

কলকাতা, 7 অগস্ট : লকডাউন ও বেকারত্বকে কাজে লাগাচ্ছে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন । এমন খবর আগে থেকেই ছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) -এর কাছে ৷ এবার একাধিক সাক্ষী ও পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ থেকে তা আরও স্পষ্ট হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে । শুধু বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নয়, এদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সরাসরি পাকিস্তানেরও । এমনটাই এনআইএ'র তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ।

অভিযোগ, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, ও উত্তর 24 পরগনার- এই চার জেলার গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী কিছু যুবকের খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে এনআইএ । এইসব যুবকদের সঙ্গে সরাসরি একাধিক নিষিদ্ধ পাকিস্তানি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে । সেই সূত্রে বহু টাকার লেনদেনের খবরও আছে তদন্তকারী সংস্থার কাছে । গতকাল রাতেই হুগলি জেলার একটি গ্রামীণ এলাকায় এনআইএর গোয়েন্দারা এরকম কিছু যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালায় । যদিও কাউকেই পাওয়া যায়নি ।

শুক্রবার হুগলি জেলার তারকেশ্বর এলাকার মোজাপাড়ায় গোপন অভিযান চালায় এনআইএ ৷ তদন্তে উঠে এসেছে সাদ্দাম ও নামিম নামে দুই যুবকের নাম । জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাদের বাড়িতে গেলেও কারোওরই দেখা পায়নি এনআইএ । অভিযোগ, বছর দুয়েক আগেই সাদ্দাম ও নাজিম এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে । তাদের পরিবারের কিছু সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা ।

এখন প্রশ্ন উঠেছে আচমকাই এইসব যুবকদের গতিবিধির উপর কেন জোর দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ? এনআইএ সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরে তারা জানতে পারেন, হাওড়ার গ্রামীণ, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি এবং উত্তর 24 পরগনা জেলার একাধিক যুবকের গতিবিধি অস্বাভাবিক । তাছাড়াও এই সাদ্দাম ও নাজিমের ব্যাঙ্ক অ্যাক্যাউন্টে সরাসরি পাকিস্তানের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাক্যাউন্ট থেকে একাধিকবার লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হয়েছে । সেই টাকা আবার তারা অন্যত্র বিনিয়োগ করেছে ৷ ফলে এক্ষেত্রে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে । কিন্তু তাদের দেখা পাওয়া যায়নি ।

এনআইএ'র অনুমান, লকডাউন চলাকালীন ভারত তথা বাংলায় বেকারত্ব বেড়েছে । ঠিক সেই সময়ই এরাজ্যে নিজেদের স্লিপার সেলের ভিত আলগা হয়েছে একাধিক জঙ্গি সংগঠনগুলির ৷ ফলে বাংলার বেকারত্বকে কাজে লাগিয়ে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ের মাধ্যমে এই যুবকদের ভুল পথে পরিচালনা করছে এইসব জঙ্গি সংগঠনের মাথারা ৷ তদন্তকারী সংস্থার দাবি, হাওড়ার গ্রামীণ, হুগলি, উত্তর 24 পরগনা জেলায় একাধিক যুবক-যুবতী গোপনে হাত মেলাচ্ছে অনৈতিক কাজকর্মের সঙ্গে ।

সম্প্রতি কলকাতা থেকে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছিল তিন যুবক । তাদের কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে ৷ এই তিন ধৃতের সঙ্গে একাধিক কথা বলে বিভিন্ন তথ্য পেয়েছে এনআইএ ৷ ফলে এবার কলকাতা থেকে জেএমবি সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া তিন যুবকের তদন্তভার শুক্রবার গ্রহণ করেছে এনআইএ । অভিযোগ, তাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলে বিপুল পরিমাণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা । ফলে এবার তাদের জেরা করে বাংলা এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে থাকা স্লিপার সেলের একাধিক সদস্যের খোঁজ পেলেও পেতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ ।

আরও পড়ুন : পাক জঙ্গি গোষ্ঠীর লিঙ্কম্যান তারকেশ্বরে ? 2 সন্দেহভাজনের খোঁজে এনআইএ

কলকাতা, 7 অগস্ট : লকডাউন ও বেকারত্বকে কাজে লাগাচ্ছে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন । এমন খবর আগে থেকেই ছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) -এর কাছে ৷ এবার একাধিক সাক্ষী ও পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ থেকে তা আরও স্পষ্ট হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে । শুধু বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নয়, এদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সরাসরি পাকিস্তানেরও । এমনটাই এনআইএ'র তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ।

অভিযোগ, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, ও উত্তর 24 পরগনার- এই চার জেলার গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী কিছু যুবকের খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে এনআইএ । এইসব যুবকদের সঙ্গে সরাসরি একাধিক নিষিদ্ধ পাকিস্তানি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে । সেই সূত্রে বহু টাকার লেনদেনের খবরও আছে তদন্তকারী সংস্থার কাছে । গতকাল রাতেই হুগলি জেলার একটি গ্রামীণ এলাকায় এনআইএর গোয়েন্দারা এরকম কিছু যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালায় । যদিও কাউকেই পাওয়া যায়নি ।

শুক্রবার হুগলি জেলার তারকেশ্বর এলাকার মোজাপাড়ায় গোপন অভিযান চালায় এনআইএ ৷ তদন্তে উঠে এসেছে সাদ্দাম ও নামিম নামে দুই যুবকের নাম । জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাদের বাড়িতে গেলেও কারোওরই দেখা পায়নি এনআইএ । অভিযোগ, বছর দুয়েক আগেই সাদ্দাম ও নাজিম এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে । তাদের পরিবারের কিছু সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা ।

এখন প্রশ্ন উঠেছে আচমকাই এইসব যুবকদের গতিবিধির উপর কেন জোর দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ? এনআইএ সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরে তারা জানতে পারেন, হাওড়ার গ্রামীণ, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি এবং উত্তর 24 পরগনা জেলার একাধিক যুবকের গতিবিধি অস্বাভাবিক । তাছাড়াও এই সাদ্দাম ও নাজিমের ব্যাঙ্ক অ্যাক্যাউন্টে সরাসরি পাকিস্তানের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাক্যাউন্ট থেকে একাধিকবার লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হয়েছে । সেই টাকা আবার তারা অন্যত্র বিনিয়োগ করেছে ৷ ফলে এক্ষেত্রে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে । কিন্তু তাদের দেখা পাওয়া যায়নি ।

এনআইএ'র অনুমান, লকডাউন চলাকালীন ভারত তথা বাংলায় বেকারত্ব বেড়েছে । ঠিক সেই সময়ই এরাজ্যে নিজেদের স্লিপার সেলের ভিত আলগা হয়েছে একাধিক জঙ্গি সংগঠনগুলির ৷ ফলে বাংলার বেকারত্বকে কাজে লাগিয়ে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ের মাধ্যমে এই যুবকদের ভুল পথে পরিচালনা করছে এইসব জঙ্গি সংগঠনের মাথারা ৷ তদন্তকারী সংস্থার দাবি, হাওড়ার গ্রামীণ, হুগলি, উত্তর 24 পরগনা জেলায় একাধিক যুবক-যুবতী গোপনে হাত মেলাচ্ছে অনৈতিক কাজকর্মের সঙ্গে ।

সম্প্রতি কলকাতা থেকে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছিল তিন যুবক । তাদের কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে ৷ এই তিন ধৃতের সঙ্গে একাধিক কথা বলে বিভিন্ন তথ্য পেয়েছে এনআইএ ৷ ফলে এবার কলকাতা থেকে জেএমবি সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া তিন যুবকের তদন্তভার শুক্রবার গ্রহণ করেছে এনআইএ । অভিযোগ, তাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলে বিপুল পরিমাণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা । ফলে এবার তাদের জেরা করে বাংলা এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে থাকা স্লিপার সেলের একাধিক সদস্যের খোঁজ পেলেও পেতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ ।

আরও পড়ুন : পাক জঙ্গি গোষ্ঠীর লিঙ্কম্যান তারকেশ্বরে ? 2 সন্দেহভাজনের খোঁজে এনআইএ

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.