কলকাতা, 7 এপ্রিল : ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছিল যুবকের দেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, আত্মহত্যা। পুলিশের ভাষায় যা অস্বাভাবিক মৃত্যু। থানার তদন্তকারী অফিসারের এই অতিসরলীকরণে বিশ্বাস করেনি মৃতের পরিবার। আর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই সামনে এল এক অন্য গল্প। অভিযোগ, যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ি। বিবাহিত ওই যুবকের যে মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তিনি জড়িত এই খুনের সঙ্গে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
শুক্রবার একটি ফোন আসে হরিদেবপুর থানায়। ফোনের ওপারে ডিউটি অফিসারকে কেউ একজন জানান, ঝুলছে এক যুবকের দেহ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ হয়, মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। পুলিশও তাই দায়ের করে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। দেহটি পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি বলে সূত্রের খবর। যদিও মৃত বুবাই বিশ্বাসের পরিবারের তরফে হরিদেবপুর থানায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
কিন্তু কেন এই "খুন"?
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এক মহিলার সঙ্গে বেশ কয়েকবছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বুবাইয়ের। পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন আগে বুবাই নিজের প্রথম স্ত্রীর কাছে ফিরে আসেন। তবে, বিষয়টি ওই মহিলা মেনে নেননি এবং বুবাইকে তাঁর কাছে ফিরে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে। ফিরে না এলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন।
এরপর গতকাল বুবাইয়ের দেহ উদ্ধারের পর দেখা যায় তাঁর দেহের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যদিও পুলিশ প্রাথমিকভাবে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল। দেহটি পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।