কলকাতা, 3 অক্টোবর : নন্দীগ্রামের (Nandigram) হারের ক্ষতে জয়ের প্রলেপ দিল ভবানীপুর (Bhabanipur) ৷ 58 হাজার 835 ভোটে জিতে আরও একবার ভবানীপুরের বিধায়ক হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ এই জয়ের ফলে আরও সাড়ে চার বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal Chief Minister) হিসেবে থাকতে তাঁর সামনে আর কোনও সাংবিধানিক জটিলতা রইল না ৷
2011 সাল থেকেই ভবানীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ৷ ভোটের ব্যবধানে হেরফের হয়ত হয়েছে, কিন্তু ভবানীপুর থেকে গিয়েছে ঘাসফুলের দখলে ৷ এবারও তাই হল ৷ আর এই জয় প্রত্যাশিতই ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ৷ কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা গেল 2011 সালের উপ-নির্বাচনের রেকর্ডও ভেঙে দিলেন মমতা ৷ সেবার থেকে অনেক বেশি ব্যবধানে জিতলেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : ভবানীপুর জিতেই তিন কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা মমতার
স্বাভাবিকভাবেই তাই এই নিয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা ৷ চারিদিকে শুরু হয়েছে সবুজ আবির নিয়ে বিজয়োৎসব পালন ৷
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী রাজনীতিতে এটা মমতার দশম জয় ৷ আর ভবানীপুর থেকে এই নিয়ে তিনবার জিতলেন মমতা ৷ 1984 সালে প্রথমবার নির্বাচনী রাজনীতিতে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুরুতেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন জায়েন্ট কিলার ৷
সেবার যাদবপুর লোকসভা আসনে তিনি হারান সিপিএমের (CPIM) হেভিওয়েট সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে (Somnath Chatterjee) ৷ যদিও সেই জয়ের রেশ তিনি ধরে রাখতে পারেননি পাঁচবছর পর ৷ 1989 সালে সিপিএমের মালিনী ভট্টাচার্যের কাছে তিনি হেরে যান ৷
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : বিরোধীদের সব চক্রান্তকে জব্দ করে দিয়েছে ভবানীপুরের মানুষ, জয়ের পর বললেন মমতা
দু’বছর পর আরও একটি লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election) মমতা প্রার্থী হয়েছিলেন কলকাতা দক্ষিণ (Kolkata Dakhshin) থেকে ৷ তার পর থেকে টানা তিন দশক ধরে তিনি নির্বাচনী রাজনীতিতে অজেয় ছিলেন ৷ লোকসভা ও বিধানসভা মিলিয়ে টানা আটটি নির্বাচনে জেতেন ৷
কিন্তু সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) তাঁর সেই বিজয়রথ থামে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ৷ সেখানে তিনি বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাছে দু’হাজারের কিছু কম ভোটে হেরে যান ৷
আরও পড়ুন : Priyanka Tibrewal: ম্যাচ জিতেছেন মমতা, কিন্তু 'ম্যান অব দ্য ম্যাচ' আমি
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, নন্দীগ্রামে হারলেও প্রতিবারের মতো নির্বাচনে তিনিই তৃণমূলের কান্ডারি ছিলেন ৷ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চেয়েই 213 টি কেন্দ্রের ঘাসফুল প্রার্থীদের জিতিয়েছেন বাংলার ভোটাররা ৷ সেই কারণে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee) ভবানীপুর থেকে পদত্যাগ করে মমতাকে লড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন ৷
আর সেই উপ-নির্বাচনে ভবানীপুরের মানুষের আশীর্বাদ দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : ভবানীপুরে জিতে ভারতের পথে আরও একধাপ মমতার