কলকাতা, 5 এপ্রিল : পশ্চিমবঙ্গে আসছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (BJP National President JP Nadda) ৷ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Bengal BJP President Sukanta Majumder) স্বয়ং এই খবর দিয়েছেন মঙ্গলবার ৷ তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতেই এখানে আসবেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda will be present in BJP Meeting at Kolkata) ৷ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সময় চেয়ে বঙ্গ বিজেপির তরফে আবেদনও করা হয়েছে ৷
কিন্তু বিজেপির এই বৈঠক কবে হতে চলেছে, তা এখনও চূড়ান্ত নয় ৷ তবে জানা গিয়েছে যে ওই বৈঠক মে মাসে হতে পারে ৷ বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার অবশ্য বলছেন যে এখনও তারিখ চূড়ান্ত হয়নি ৷ বিজেপির একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে ওই বৈঠকে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষও উপস্থিত থাকবেন ৷
রাজ্যের কর্মসমিতির বৈঠকে সাধারণত রাজ্যের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় ৷ সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতি বলতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, বড়জোড় জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) উপস্থিত থাকেন ৷ বৈঠকের নির্যাস পরে জাতীয় সভাপতি ও শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় ৷
স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে, বঙ্গের সংগঠনের কর্মসমিতির বৈঠকে হঠাৎ জাতীয় সভাপতি নাড্ডা আসছেন কেন ? বিজেপির ওই সূত্রের দাবি, 2014 সালের পর থেকেই বঙ্গে বিজেপির সংগঠন মজবুত হতে শুরু করেছে ৷ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলে তা স্পষ্ট হয়েছিল ৷ কিন্তু 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি গেরুয়া শিবির ৷ বরং তার পর সময় যত এগিয়েছে, ততই গোষ্ঠীকোন্দল সামনে চলে এসেছে বারবার ৷
এই পরিস্থিতিতে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই সংগঠনের অন্দর মজবুত করতে চায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৷ সেই কারণেই জেপি নাড্ডা আসছেন ৷ সংগঠন কোন পথে গেলে ভোটের ময়দানে লাভ হবে, তা নিয়েই কথা বলবেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি ৷
বিজেপির ওই সূত্রের দাবি, রাজ্যের কর্মীদের কাছেও ওই বৈঠক থেকে স্পষ্টবার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ আগামিদিনে সংগঠন যে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে (Bengal LoP Suvendu Adhikari) সামনে রেখে এগোবে, সেটাও কিছুটা স্পষ্ট করে দেওয়া হবে ৷ তাছাড়া গোষ্ঠীকোন্দল থামিয়ে সংগঠন মজবুত করতেও রাজ্য নেতৃত্বের একাংশকে কড়াবার্তাও দেওয়া হতে পারে ওই বৈঠক থেকে ৷ তাই বৈঠকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব-সহ রাজ্য কমিটির সমস্ত সদস্যদের তলব করা হয়েছে । বিজেপির সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদকেও ডাকা হয়েছে ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে সেই বৈঠকের আগে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বড় আকার নেবে না তো ৷ কারণ, গতকাল যে রাজ্য কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে সায়ন্তন বসু, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়দের মতো বিদ্রোহী নেতাদের রাখা হয়নি ৷ আবার প্রতিবাদী মুখদের মধ্য থেকে শমীক ভট্টাচার্য, প্রতাপ বন্দ্য়োপাধ্যায়, বিশ্বপ্রিয় মজুমদার, রাহুল সিনহা সহ জেলার একাধিক নেতাকে রাখা হয়েছে ।
তাই এই নিয়ে গেরুয়া শিবিরে নতুন করে কোনও গোল বাঁধে, নাকি নাড্ডার দেখানো পথে একজোট হয়ে 24-এর লক্ষ্য়ে বঙ্গ বিজেপি লড়াই করে, এখন সেটাই দেখার !
আরও পড়ুন : Agnimitra Slams Chandrima : কাজগুলো কি আমার ভূতে করেছিল ? চন্দ্রিমার কটাক্ষের পাল্টা অগ্নিমিত্রার