কলকাতা, 2 অগাস্ট: এবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চলেছে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট । 4 অগাস্ট একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেবে তারা ।
27 মার্চ থেকে 7 জুন পর্যন্ত বাসভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে এই সংগঠন । তবে এখনও পর্যন্ত তাদের সমস্যার সমাধান হয়নি । তাই এবার রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেবে তারা ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "একাধিকবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি । তাই আমরা আবার রাজ্যপালের মাধ্যমে সার্বিক বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানাব। রাজ্যজুড়ে আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছি । আর কোনও সংগঠন তেলের দামের প্রতিবাদ করে পথে নামেনি আমাদের মতো।" ডেপুটেশনে যে দাবিগুলি তারা তুলে ধরবে সেগুলি হল- যতদিন না কোরোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে অবিলম্বে ব্যাঙ্কের EMI মকুব করতে হবে, ইনসিউরেন্সের প্রিমিয়াম মকুব করতে হবে এবং ডিজ়েলের দাম অবিলম্বে কমাতে হবে ৷ তা নাহলে ডিজ়েলের উপর GST বসাতে হবে সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট অনুযায়ী ৷ CF-এর উপর ফাইন ও ফিজ় মকুব এবং তার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে।
এদিকে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের দায়িত্ব গাড়ি চালানো । আমরা তাই গাড়ি চালাব ৷ সরকারের দায়িত্ব এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে একটা সিদ্ধান্তের পথ খুঁজে বের করা ৷ তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে ৷ এরমধ্যে প্রতিবাদ করে পথে নামার তো কিছু নেই ? গোড়ার দিকে আলোচনার মাধ্যমে রাস্তায় না নেমেও যেভাবে সুরাহার পথ বের হয়েছিল সেখানে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে । কয়েকজন খবরের শিরোনামে আসার চেষ্টায় এই জটিলতার তৈরি করেছেন । তাই বর্তমানে প্রধান দায়িত্ব হল- গাড়িগুলিকে পুনরায় রাস্তায় নামানো । পাশাপাশি গাড়িগুলোকে পথে নামানোর জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রের যা যা করণীয় তা করা । তাই যেখানে যার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাজ হবে তা করা । আমরাও বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীর মাধ্যমে এই বিষয়গুলি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিছু কাজও হয়েছে ইতিমধ্যে।"