কলকাতা, 21 জুন : দশ বছর পর আগে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Jnaneswari accident) 'মৃত' অমৃতাভ ও তাঁর বাবা মিহিরকুমার চৌধুরীর ডিএনএ পরীক্ষা করবে সিবিআই ৷ মূলত আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত থাকার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে ৷ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অমৃতাভ ও তাঁর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই । একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ থেকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা মনে করছেন, 10 বছর আগে 'মৃত' অমৃতাভ আর এই অমৃতাভ একই ব্যক্তি ৷ কিন্তু তা আইনত প্রমাণ করতে এবার তাঁদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানান সিবিআই আধিকারিকরা । ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই আর্জি জানানো হয়েছে । আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত ।
ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে, নকল ডিএনএ রিপোর্ট জমা দিয়ে সরকারি ক্ষতিপূরণের চার লক্ষ টাকা ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজনের জন্য সরকারি চাকরি হাতিয়েছিল অভিযুক্ত । তারপর তদন্তে নামে সিবিআই । সত্যি সামনে আসে ৷ আটক করা হয় বাবা মিহিরকুমার চৌধুরী এবং ছেলে অমৃতাভ চৌধুরীকে । তাঁদের ইতিমধ্যেই আটক করে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার (anti-corruption branch) গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ।
জানা গিয়েছে, 2010 সালের 28 মে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা মৃতদের তালিকায় নাম ছিল এই অমৃতাভ চৌধুরীরও । অভিযোগ, সরকারি খাতায় তিনি মৃত ছিলেন । কিন্তু সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (South Eastern Railway) তরফ থেকে সিবিআইকে চিঠি দিয়ে একটি অভিযোগ করা হয় যে, সরকারি খাতায় যে অমৃতাভ চৌধুরী মৃত বলে জানানো হয়েছে, তিনি বেঁচে আছেন । এই ঘটনায় তদন্ত করে দেখার আবেদন আসে । এরপরই তদন্তে নেমে গোটা ঘটনাটি পরিষ্কার হয় গোয়েন্দাদের সামনে ।
তদন্তে নেমে সিবিআই গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ডিএনএ রিপোর্ট জমা দিয়ে সরকারি ক্ষতিপূরণ হিসাবে ইতিমধ্যেই 4 লক্ষ টাকা এবং পরিবারের একজনের সরকারি চাকরি পেয়েছেন অমৃতাভ চৌধুরী ৷ কিন্তু তিনি বহাল তবিয়তে বেঁচে রয়েছেন । খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সিবিআই আধিকারিকরা । গত শনিবার দুপুরে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকা থেকে অমৃতাভ চৌধুরী এবং তাঁর বাবা মিহিরকুমার চৌধুরীকে আটক করে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা ৷ ফটো অ্যালব্যাম থেকে অমৃতাভের পুরানো ছবি মিলিয়েও দেখা হয় ।
আরও পড়ুন : জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় 'মৃত'কে ফের জেরা, রাঘববোয়ালের খোঁজে সিবিআই