কলকাতা, 11 ডিসেম্বর : মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর সাপোর্টের বাইরে বের করা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে । আর ভেন্টিলেশনের বাইরে বেরিয়ে স্ত্রী আর মেয়ের খোঁজ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি তাঁর দীর্ঘ বছরের সহচর তপনবাবুরও খোঁজ করলেন ।
শুক্রবার সকালে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটরের সাপোর্টের বাইরে আসার পরে স্ত্রী, মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । এরপর বিকালে তপনবাবুর সঙ্গে কথা বলেন। বাড়িতে তাঁর সঙ্গে সব সময় থাকেন তপনবাবু। শুক্রবার বিকাল থেকে হাসপাতালেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তপনবাবুর থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে 11টা নাগাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর সাপোর্টের বাইরে এনে নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরের সাপোর্ট অর্থাৎ, বাইপ্যাপ-এ রাখা হয়। শুক্রবার বিকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটমুক্ত নয়। তবে, শুক্রবার রাতের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে আজ মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটরের সাপোর্টের বাইরে আনার পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যখন কথা বলতে শুরু করেন, তখন তিনি তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের খোঁজ করেন। পাশাপাশি তপনবাবুর খোঁজ করেন। পরে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তবে, তপনবাবুর সঙ্গে কথা বলতে বিকেল গড়িয়ে যায়। কারণ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তপনবাবুকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তপনবাবুর কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তপনবাবুকে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তপনবাবুর সঙ্গে কথা বলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাড়িতে সব সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকেন তপনবাবু। তাই শুক্রবার বিকাল থেকে হাসপাতালেও যাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সব সময় থাকতে পারেন, তার ব্যবস্থা করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দলের কারো খোঁজ করেননি ।
সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়িজ়)-র সমস্যায় আক্রান্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এই সমস্যার কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও তাঁকে দক্ষিণ কলকাতায় আলিপুরের বেসরকারি এই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। এরপরও মাঝেমধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেই সময় বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলেছে। বুধবার 76 বছর বয়সি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। চিকিৎসকরা জানান, অক্সিজেন স্যাচুরেশন 70-এ নেমে এসেছিল। অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণেই তাঁর তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। দ্রুত তাঁকে নিয়ে আসা হয় আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার দুপুরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ওই হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সিওপিডি-র কারণেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই অসুস্থতা, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ।