কলকাতা, 17 মে : কলকাতায় করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা । কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করছিলেন । আজ সকালে তাঁকে সিবিআই গ্রেফতারের পর কীভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে । শহরে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে কলকাতা পৌরনিগম কী পদক্ষেপ নেবে সেইসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তিনি নিতেন । আগামী দিনে কীভাবে কলকাতা পৌরনিগম কাজ করবে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পৌরনিগমের অন্দরে।
এ দিন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, মুখ্য প্রশাসকের অনুপস্থিতে কলকাতা পৌরনিগমের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সমস্যা হবে । কারণ তিনি মুখ্য প্রশাসকের সঙ্গে পুর দফতরের মন্ত্রী ছিলেন । তাই অনেক দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারতেন । এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সচল রাখা ও করোনার মোকাবিলা করা পৌরনিগমের প্রধান কাজ । কলকাতা পৌরনিগমের সবক’টি দফতরের সমন্বয় ঘটিয়ে করোনার পরিস্থিতির মোকাবিলা করছিলেন মুখ্য প্রশাসক ৷
আরও পড়ুন : আর্থিক দুর্নীতি এবং জেলযাত্রা, মদন মিত্রের রাজনৈতিক জীবনে যেন সমার্থক !
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কোথায় সেফ হোম তৈরি করতে হবে ? কোথায় অক্সিজেন পার্লার তৈরি করতে হবে ? ইত্যাদি পরিকাঠামোগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন ফিরহাদ হাকিম নিজেই । উনি না থাকার ফলে এই কাজগুলি বিঘ্নিত হবে বলে জানিয়েছেন অতীন ঘোষ । সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই মামলা দীর্ঘদিন চললে পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসকের অনুপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হবে রাজ্য সরকারের ওপর । সেক্ষেত্রে কাজ অনেকটাই বিলম্বিত হবে ।
আরও পড়ুন : নিজাম প্যালেসে পৌঁছে কি রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা ?
এর পাশাপাশি এদিন অতীনবাবু জানিয়েছেন, বিধায়কদের গ্রেফতার করতে গেলে আগে বিধানসভার অধ্যক্ষের থেকে অনুমতি নিতে হয় । আজ তা করা হয়নি । অধ্যক্ষকে না জানিয়ে রাজ্যপালের থেকে অনুমতি নিয়ে যেভাবে বিধায়কদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত ।