ETV Bharat / city

Covid surge in West Bengal : করোনার শেষ কোথায় ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা - বিশেষজ্ঞ মতামত

বারবার রূপ বদল করেই টিকাকে হার মানাচ্ছে করোনা ? কিছুটা এমনই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের ৷ করোনার বাড়বাড়ন্তে (Covid surge in West Bengal) তাঁরা চিন্তিত ৷ একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, এত সহজে এই ভাইরাসের হাত থেকে নিস্তার মিলবে না ৷ তবে সময়ের সঙ্গে ভাইরাসের প্রকোপ হয়তো কমবে ৷ তবে সবটাই অনুমান ৷ আর তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

expert opinion on covid surge in west bengal
Covid surge in West Bengal : করোনার ভোলবদলেই অকেজো টিকা, বিশেষজ্ঞদের ভরসা স্বাস্থ্যবিধি
author img

By

Published : Jan 5, 2022, 8:34 PM IST

কলকাতা, 5 জানুয়ারি : রাজ্যজুড়ে আবারও লাগামছাড়া করোনার সংক্রমণ (Covid surge in West Bengal) ৷ এক ভ্যারিয়ান্টের প্রভাব কাটতে না-কাটতেই শোনা যাচ্ছে কোভিড ভাইরাসের (Covid-19) নিত্যনতুন সংস্করণের কথা ! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এর শেষ কোথায় ? দ্বিতীয় ঢেউ রেশ থিতিয়ে আসার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো ওমিক্রনেই (Omicron Variant) ক্ষান্ত হবে ভয়ঙ্কর ভাইরাস ৷ কিন্তু, ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে, ফ্রান্সে ওমিক্রনের উত্তরসূরি ইহু-ও (IHU) হাজির ! আর এই কারণেই সহজে করোনার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞদের একাংশ ৷

আরও পড়ুন : Migrant Workers Returning Home : বাড়ছে করোনা, লকডাউনের আশঙ্কায় বাড়ি ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. অমিতাভ নন্দী এই প্রসঙ্গে ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর সময় আসেনি ৷ তবে এই ভাইরাস বারবার রূপ বদল করলেও একটা সাধারণ জিনিস প্রত্যেকটির মধ্যেই থাকছে ৷ অরিজিনাল সার্স-কোভ-2, ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট, বিটা ভ্যারিয়্যান্ট, আর এখন ওমিক্রন ৷ এগুলির সবক’টির মধ্যেই কিছু সামঞ্জস্য রয়েছে ৷ তাই আগামী দিনে আরও ভ্যারিয়্যান্ট এলেও তা ঠেকাতে ‘ক্রস ইমিউনিটি’ তৈরি হয়ে যায় ৷ এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে তা ছড়িয়ে পড়ে ৷ ফলে সামগ্রিক একটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে ৷ এর জেরে পরবর্তীকালে ভাইরাসটি আর মহামারি বা অতিমারির কারণ হয়ে উঠতে পারে না ৷ তা আর পাঁচটা সাধারণ সর্দি-জ্বরে পরিণত হয় ৷ করোনার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে ৷’’

তবে ভাইরাসের ক্ষমতা ক্রমশ কমলেও সচেতনতা ত্যাগ করলে চলবে না বলেই জানাচ্ছেন ড. নন্দী ৷ তাঁর মতে, ভাইরাস থেকে বাঁচতে মানতেই হবে কোভিডবিধি ৷ একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, টিকা দিয়ে যে করোনা ঠেকানো যাবে না, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত ৷ কারণ, এবার যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে ৷ উপরন্তু, টিকা মানবদেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি ৷

আরও পড়ুন : Changes in Home Isolation Guidelines : বদলাল উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত কোভিড রোগীদের নিভৃতবাসের নিয়ম

করোনা নিয়ে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নারাজ চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিকও ৷ তিনি মনে করেন, পাঁচদিনেই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে পেয়ে কাজে ফিরে যাওয়া উচিত হচ্ছে না ৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা সংক্রমণ নতুন কোনও ভ্যারিয়্যান্ট সৃষ্টির ইঙ্গিত হতেই পারে ৷ ভাইরাস রূপ বদল করতে করতে শেষমেশ কোন অবস্থায় পৌঁছবে, তা বলতে পারে একমাত্র সময় ৷’’

ড. বণিকের কাছে ইটিভি ভারতের প্রশ্ন ছিল, টিকা নিয়েও এত বেশি সংখ্যায় মানুষ কেন আক্রান্ত হচ্ছেন ? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এর পিছনে দু’টি কারণ থাকতে পারে ৷ প্রথমত, টিকা হয়তো আদৌ কাজে আসেনি ৷ আর দ্বিতীয়ত, করোনা রূপ বদলে ফেলায় আগের সংস্করণের জন্য তৈরি টিকা অকেজো হয়ে গিয়েছে ৷’’ তবে টিকাকরণ সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছে, একথা মানতে নারাজ ড. বণিক ৷ তাঁর মতে, এখন যেটা সবথেকে জরুরি, তা হল কোভিডবিধি মেনে চলা ৷ একইসঙ্গে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর উপরেও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি ৷

কলকাতা, 5 জানুয়ারি : রাজ্যজুড়ে আবারও লাগামছাড়া করোনার সংক্রমণ (Covid surge in West Bengal) ৷ এক ভ্যারিয়ান্টের প্রভাব কাটতে না-কাটতেই শোনা যাচ্ছে কোভিড ভাইরাসের (Covid-19) নিত্যনতুন সংস্করণের কথা ! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এর শেষ কোথায় ? দ্বিতীয় ঢেউ রেশ থিতিয়ে আসার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো ওমিক্রনেই (Omicron Variant) ক্ষান্ত হবে ভয়ঙ্কর ভাইরাস ৷ কিন্তু, ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে, ফ্রান্সে ওমিক্রনের উত্তরসূরি ইহু-ও (IHU) হাজির ! আর এই কারণেই সহজে করোনার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞদের একাংশ ৷

আরও পড়ুন : Migrant Workers Returning Home : বাড়ছে করোনা, লকডাউনের আশঙ্কায় বাড়ি ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. অমিতাভ নন্দী এই প্রসঙ্গে ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর সময় আসেনি ৷ তবে এই ভাইরাস বারবার রূপ বদল করলেও একটা সাধারণ জিনিস প্রত্যেকটির মধ্যেই থাকছে ৷ অরিজিনাল সার্স-কোভ-2, ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট, বিটা ভ্যারিয়্যান্ট, আর এখন ওমিক্রন ৷ এগুলির সবক’টির মধ্যেই কিছু সামঞ্জস্য রয়েছে ৷ তাই আগামী দিনে আরও ভ্যারিয়্যান্ট এলেও তা ঠেকাতে ‘ক্রস ইমিউনিটি’ তৈরি হয়ে যায় ৷ এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে তা ছড়িয়ে পড়ে ৷ ফলে সামগ্রিক একটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে ৷ এর জেরে পরবর্তীকালে ভাইরাসটি আর মহামারি বা অতিমারির কারণ হয়ে উঠতে পারে না ৷ তা আর পাঁচটা সাধারণ সর্দি-জ্বরে পরিণত হয় ৷ করোনার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে ৷’’

তবে ভাইরাসের ক্ষমতা ক্রমশ কমলেও সচেতনতা ত্যাগ করলে চলবে না বলেই জানাচ্ছেন ড. নন্দী ৷ তাঁর মতে, ভাইরাস থেকে বাঁচতে মানতেই হবে কোভিডবিধি ৷ একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, টিকা দিয়ে যে করোনা ঠেকানো যাবে না, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত ৷ কারণ, এবার যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে ৷ উপরন্তু, টিকা মানবদেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি ৷

আরও পড়ুন : Changes in Home Isolation Guidelines : বদলাল উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত কোভিড রোগীদের নিভৃতবাসের নিয়ম

করোনা নিয়ে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নারাজ চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিকও ৷ তিনি মনে করেন, পাঁচদিনেই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে পেয়ে কাজে ফিরে যাওয়া উচিত হচ্ছে না ৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা সংক্রমণ নতুন কোনও ভ্যারিয়্যান্ট সৃষ্টির ইঙ্গিত হতেই পারে ৷ ভাইরাস রূপ বদল করতে করতে শেষমেশ কোন অবস্থায় পৌঁছবে, তা বলতে পারে একমাত্র সময় ৷’’

ড. বণিকের কাছে ইটিভি ভারতের প্রশ্ন ছিল, টিকা নিয়েও এত বেশি সংখ্যায় মানুষ কেন আক্রান্ত হচ্ছেন ? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এর পিছনে দু’টি কারণ থাকতে পারে ৷ প্রথমত, টিকা হয়তো আদৌ কাজে আসেনি ৷ আর দ্বিতীয়ত, করোনা রূপ বদলে ফেলায় আগের সংস্করণের জন্য তৈরি টিকা অকেজো হয়ে গিয়েছে ৷’’ তবে টিকাকরণ সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছে, একথা মানতে নারাজ ড. বণিক ৷ তাঁর মতে, এখন যেটা সবথেকে জরুরি, তা হল কোভিডবিধি মেনে চলা ৷ একইসঙ্গে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর উপরেও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.