5 ফেব্রুয়ারি, কলকাতা : যে যাই বলুক ৷ বাংলায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকারই ফিরছে ৷ তৃণমূলে যোগদান করেই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় একথা বললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা দীপঙ্কর দে৷ শুক্রবার রাজ্য়ের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র ব্রাত্য় বসুর হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন দীপঙ্কর৷ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন রাজ্যের শাসকশিবিরে৷
এদিন দীপঙ্করের সঙ্গেই তৃণমূলে যোগদান করেন প্রখ্য়াত অভিনেতা ভরত কল, অভিনেত্রী লাভলি মিত্র এবং সংগীতশিল্পী শাওনা খান ৷ প্রসঙ্গত, শাওনা যশস্বী সংগীতশিল্পী রসিদ খানের কন্যা৷
দীপঙ্কর দে-র এই যোগদানকে দলীয় নেতৃত্ব যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে, তা ব্রাত্য বসুর কথা থেকেই স্পষ্ট ৷ এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সাফ জানান, যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন তাঁরা ভুল করছেন ৷ এমনকী দলত্যাগীদের দলে ফেরারও আবেদন জানিয়ে রাখেন ব্রাত্য৷ তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের সরকার তথা বিজেপি সেলেবদেরও ভয় দেখাচ্ছেন ৷ এই প্রসঙ্গে গ্রেটা থুনবার্গ, রিয়ানা, মিয়া খালিফার কথা টেনে আনেন ব্রাত্য ৷ তাঁর অভিযোগ, আন্তর্জাতিক এই সেলেবরা যখন কৃষক আন্দোলনকে প্রকাশ্যেই সমর্থন জানাচ্ছেন, তখন বিজেপি তথা কেন্দ্রের ভয়েই এঁদের বিরোধিতা করছেন ভারতীয় তারকাদের একাংশ ৷ যা নিয়ে মুখ খুলেছেন বঙ্গতনয়া কঙ্কনা সেনশর্মাও ৷ এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অপর্ণা সেনের মেয়ের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী৷
বাংলায় এই পরিস্থিতি এড়াতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও তৃণমূলই একমাত্র ভরসা বলে দাবি করেন ব্রাত্য ৷ তাঁর মতে, বাংলার কলাকুশলীরা এই সারসত্য ইতিমধ্যেই উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন ৷ আর করেছেন বলেই দীপঙ্করের মতো প্রবীণ অভিনেতা থেকে শাওনার মতো তরুণ সংগীতশিল্পী, সকলেই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছেন৷
আরও পড়ুন: ফের ভাঙন, তৃণমূলে যোগ দিলেন মিমের রাজ্যের নেতা
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং তাঁর দল ও সরকারের প্রতি নিজের দায়িত্ববোধ ও কৃতজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন প্রবীণ অভিনেতা দীপঙ্কর ৷ তিনি স্পষ্ট জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি তৃণমূলের সমর্থক ৷ তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সক্রিয়ভাবে দলে যোগ দিতে পারেননি৷
বিজেপি হাওয়া যে টলিউডেও বিভাজন তৈরি করেছে, তা অস্বীকার করেননি দীপঙ্কর ৷ যদিও তাঁর দাবি, এর ফলে গেরুয়াশিবিরের লাভ কিছুই হবে না ৷ আখেরে নির্বাচনে জিতবেন মমতাই ৷ পাশাপাশি, রুদ্রনীল ঘোষের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দীপঙ্কর ৷ তাঁর কথায়, ‘‘কেউ যদি কোথাও পাঁপড় ভাজতে যান, তো যাবেন ৷ তাতে আর বলার কী আছে!’’