কলকাতা, 25 মে: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গোটা দেশেই ‘বুথ সশক্তিকরণ অভিযান’ শুরু করছে বিজেপি (Dilip in charge of eight states)। আর সেই কর্মসূচিতেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামান ও উত্তর-পূর্বের চার রাজ্য মণিপুর, মেঘালয়, অসম এবং ত্রিপুরার সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব দিলীপ ঘোষের কাঁধে তুলে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা । আজ দিল্লিতে বৈঠকের পর নাড্ডা আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা করেছেন । তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই আট রাজ্যের মধ্যে নেই পশ্চিমবঙ্গ ৷
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh criticises Mamata Banerjee : মেদিনীপুরে জমি নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
বিজেপি সূত্রের খবর, এক সময়ের বঙ্গ বিজেপি দাপুটে নেতা তথা রাজ্য বিজেপি'র প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কেন বাংলা ছাড়া আট রাজ্যের বড় দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা ৷ তাহলে দিলীপকে কি বাংলার সংগঠনে থেকে সরিয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ? দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করার পর থেকে বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ তা হলে কি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই তাঁকে এই রাজ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ?
অতীতে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও দেখা গিয়েছিল দিলীপকে। সম্প্রতি সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী জননেতা নন বলে মন্তব্য করতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে। বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতা বলেন, "দিলীপ ঘোষের আমলে বাংলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে । তাই তাঁকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে দেওয়া বা অন্য রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না ৷"
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, "দিলীপ ঘোষ বাংলারই নেতা। আর বাংলার বিজেপির সংগঠনের একজন অবিভাবক। আর এটা সর্বভারতীয় দল। পাশাপাশি তিনি এখন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তাই তাঁকে বাংলার বাইরেও সংগঠনের কাজ করতে হবে। এটা একেবারেই স্বাভাবিক।"