কলকাতা, 28 সেপ্টম্বর : কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ের পরই দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্প নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । কিন্তু এই দুয়ারে রেশনের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে জনমানসে নানা কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে । ডিলার সংগঠনগুলির (Dealers Association) মধ্যেও ভিন্ন রকম মত দেখা যাচ্ছে । কোনও সংগঠন বলছে, ‘‘আমাদের লড়াই আন্দোলন জয় পেয়েছে ।’’ আবার কোনও সংগঠন বলছে, ‘‘রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তার ওপরেই আমরা নির্ভর করব ।’’
অল বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম নেতা বিশ্বম্ভর বসু বলেন, "আমাদের জয় হয়েছে । আমরা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ছিলাম । পুজোর আগে এত বড় জয় সত্যিই আমাদের কাছে সেরা পুজো উপহার বলেই আমরা মনে করি ।"
এদিকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামী নভেম্বর মাসে নেতাজি ইন্ডোরে বিশেষ অনুষ্ঠানের ডাক দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশন । তাদের অন্যতম নেতা হাজি হাসান উল্লাহ লস্কর বলেন, "সাধারণ মানুষের দুয়ারে রেশন পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকার যে প্রকল্প চালু করেছিল, আমাদের সংগঠনের কর্মীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই লক্ষ্যপূরণ করেছে । কিন্তু হাইকোর্ট বা আদালতের উপরে আমরা কেউই নই । তাই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে, রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেই সিদ্ধান্তই মেনে নেব । সরকার যদি মনে করে দুয়ারে রেশন বন্ধ রাখবে, আমাদের তাতে আপত্তি নেই । ঠিক তেমনই সরকার যদি চালু রাখে, তাতেও আমাদের কোনও রকম আপত্তি নেই ।"
ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশন বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক সম্মেলন করে বেশ কয়েকটি দাবি জানায় । রেশন খাদ্যদ্রব্যের ন্যায় কেরোসিনেও ভর্তুকি বাংলার মানুষের জন্য বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছে তারা । তাদের আরও দাবি, রেশন দোকানদারের কমিশনের নীতি পরিবর্তন করে কুইন্টাল প্রতি 400 টাকা বরাদ্দ করতে হবে । খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুসারে মিড ডে মিল প্রকল্পের মতো কুইন্টাল প্রতি এক কিলোগ্রাম হ্যান্ড লস দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন : দুয়ারে রেশন প্রকল্পকে বেআইনি বলে রায় হাইকোর্টের