কলকাতা, 23 মার্চ : নির্বাচন কমিশনের তরফে অনুরোধ করা হয়েছিল ISI (ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউট)-কে। বলা হয়েছিল, VVPAT গণনার সংখ্যা বাড়ানো যায় কি না খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে। আসলে বিরোধীদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, প্রতি বিধানসভা পিছু একটি VVPAT গণনা করলে চলবে না। বাড়াতে হবে সংখ্যা। তারপরই কমিশনের তরফে বিষয়টি রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল ERC (এক্সপার্ট রিভিউ কমিটি)-র সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে VVPAT গণনার সংখ্যা বাড়ানো যাবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনই জানিয়েছে কমিশন।
কমিশনের তরফে জানানো হয়, রিপোর্ট জমা পড়েছে। তবে কী আছে সেই রিপোর্টে তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। ব্রিগেডে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার মঞ্চে বিষয়টি তুলেছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ। প্রশ্নটা ছিল মূলত EVM নিয়ে। অভিযোগ ছিল EVM কারচুপির। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলার জন্য একটি কমিটি তৈরি করে বিরোধীরা। সেই কমিটি দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে বেশ কিছু দাবি জানায়। পরে ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেভ ইন্ডিয়ার ধরনা মঞ্চে চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, “ আমরা অন্তত 50শতাংশ VVPAT গণনার দাবি জানাচ্ছি। কমিশনে গিয়েও আমরা সেই দাবি পেশ করেছি।"
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বারবার বলেছে, EVM কারচুপি অসম্ভব। কমিশন সূত্রে খবর, এবারের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নতুন EVM (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন)-এ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সর্বত্র পৌঁছে গেছে M3 জেনারেশনের মেশিন। ফার্স্ট লেভেল চেকিং-ও হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে থাকছে VVPAT। যার মাধ্যমে ভোট দেবার পর সঠিক প্রার্থীকে ভোট দিলেন কি না তা জানতে পারবেন ভোটাররা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর EVM নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং মানুষের আস্থা অর্জন করতে ব্যাপক প্রচারও চালায়। এখন বিরোধীদের মূল দাবি, VVPAT গণনার সংখ্যা বাড়ানো। তাদের সেই দাবি পূরণ হয় কি না তা অবশ্য জানা যাবে দিন কয়েকের মধ্যেই।