কলকাতা, 23 অগস্ট: নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Corruption) প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দল এবং সরকারে শুদ্ধিকরণ চলছে জোরকদমে (Assembly Committees)। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভায় রদবদল দেখেছে রাজ্য । সাংগঠনিক স্তরেও বুথ থেকে জেলা ব্যাপক রদবদল চলছে । এই রদবদলের তালিকায় এ বার উঠে আসতে চলেছে বিধানসভার বিভিন্ন কমিটিও ।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, দুর্নীতি বা অস্বচ্ছতার অভিযোগ রয়েছে এমন নেতাদের বিধানসভার বিভিন্ন কমিটি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে খবর । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিধানসভার স্থায়ী কমিটিগুলিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে এখন যে সব সদস্য রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোন কোন অভিযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে । এবং এ ক্ষেত্রে যাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাঁদের সেই সব কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে । শাসক এবং বিরোধী উভয় দলের সদস্যরাই বিধানসভার স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পান ৷ তবে চেয়ারম্যান বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে শাসক দলের বিধায়কদের সংখ্যাই বেশি ৷ সে কারণেই এই যে শুদ্ধিকরণের প্রয়াস মনে করা হচ্ছে তা শাসকদলের শুদ্ধিকরণেরই অংশ । এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানদের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি । মনে করা হয় তাঁরা প্রায় রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর সমান সুযোগ সুবিধা পান ।
আরও পড়ুন: অভিষেক ঘনিষ্ঠরাই নতুন মন্ত্রী ? মমতার মন্ত্রিসভাতেও কি দীর্ঘায়িত হচ্ছে তাঁর ছায়া ?
যেহেতু ওই সব কমিটিতে শাসক দলের বিধায়কদের সংখ্যাই বেশি তাই মনে করা হচ্ছে এই রদবদলে সব থেকে বড় প্রভাব পড়তে চলেছে শাসক শিবিরের উপরেই । সাধারণত, দলের গুরুত্বপূর্ণ বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিতে না পারলে তাঁদের বিধানসভার বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় বা কমিটির সদস্য করা হয় । কমিটির সাধারণ সদস্যদের তুলনায় কিছু বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পান চেয়ারম্যানরা ।
ইতিমধ্যেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার আধিকারিকরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন । আর এই জিজ্ঞাসাবাদের পরই তাঁদের নিয়ে সতর্ক হল দল ।