কলকাতা, 3 মে: বিশ্বজুড়ে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। গরিব মানুষ কেবল আরও গরিব হচ্ছেন। গণবণ্টন ব্যবস্থা সঠিক নয়। দেশের খাদ্য ভাণ্ডারে মজুত রয়েছে পর্যাপ্ত খাদ্য দ্রব্য। দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না প্রয়োজনীয় খাবার। এখনও কিছু মানুষ মুনাফা করতে চাইছেন গরিব মানুষদের বঞ্চিত করে। আজ এই অভিযোগ করলেন CPI(M)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এক রহস্যময় কারণেই দেশের খাদ্য ভাণ্ডারে মজুত খাদ্যদ্রব্য মানুষের মধ্যে বণ্টন করতে চাইছে না। কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এই সময়ও কিছু মানুষকে পাইয়ে দেবার রাজনীতি করছে দেশের সরকার।
ইয়েচুরি বলেন, "মহামারীতে কি পুঁজিপতিদের বেশি ক্ষতি হয়েছে? মোটেই না। এই পরিস্থিতির মধ্যেও পুঁজিপতিদের মুনাফা বাড়ছে। ভারতে রিলায়েন্স কেবল এই সময়েই 17.7 শতাংশ মুনাফা করেছে। তাহলে প্যানডেমিকের অজুহাত দেখিয়ে কাজ থেকে ছাঁটাই কিংবা মজুরি ছাঁটাই করা হবে কেন ? মুনাফা নেবে ওরা, আর দুর্দশার বোঝা চাপানো হবে শ্রমজীবীদের ঘাড়ে?"
ইতিমধ্যেই সমগ্র দেশে রেকর্ড পরিমাণ বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। লকডাউন উঠে গেলে বেকারের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। দেশের সরকার কর্মসংস্থানের কোনও দিশা দেখাতে পারছে না। আগামী দিনে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। উদ্বেগ প্রকাশ করে সীতারাম ইয়েচুরি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, গরিব মানুষের হাতে অর্থের জোগান দেওয়ার জন্য।