কলকাতা 1 ফেব্রুয়ারি: 32 নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য অধিগৃহীত জমির মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court Orders) । মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ ৷
জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য পুরুলিয়ার আড়শা থানার কাঁটাডি মৌজার বাসিন্দা সমীর মণ্ডলের বসতবাড়ির জমির কিছুটা অংশ অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার ৷ পাশাপাশি, বলরামপুর মৌজার বাসিন্দা অংশুমান কুণ্ডুর পেট্রলপাম্প-সহ জমির একটি অংশ অধিগ্রহণ করা হয়েছিল এই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য । অভিযোগ, রাজ্য জমি অধিগ্রহণ করলেও এই জমিদাতাদের শুধু চাষের জমির দামটুকুই দেওয়া হয় ৷ ওই জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কোনও নথিও জমিদাতাদের দেওয়া হয়নি ৷ তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ।
আরও পড়ুন : আলিপুর চিড়িয়াখানায় অশান্তি মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ তলব কলকাতা হাইকোর্টের
মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী চণ্ডীচরণ দে, জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু ত্রুটি যে রয়েছে তা স্বীকার করে নেন । অন্যদিকে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের 2013 সালের জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী জমি নেওয়া হয়েছে সেটা জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু উপযুক্ত কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি । বিচারপতির শুভ্রা ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রাজ্যকে নির্দেশ দেয় ,দু'মাসের মধ্যে জমিদাতাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে । পাশাপাশি জমিদাতাদের জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত অন্যান্য যে অভিযোগগুলি রয়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে দু'মাসের মধ্যে সমস্যার নিষ্পত্তি করতে হবে ।
এই নির্দেশের পর মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, "হাইকোর্টের এই রায় রাজ্যের জমি অধিগ্রহণের ইতিহাসে একটা নজির তৈরি করবে । কারণ এতদিন জমি অধিগ্রহণ করা হলেও কোন আইনে অধিগ্রহণ হচ্ছে তা জানানো হত না । এই প্রথম কেন্দ্রের 2013 সালের আইনে তা অধিগ্রহণ করার কথা প্রকাশ্যে জানাল রাজ্য । পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত যে নথি জমিদাতাদের দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা আগামী দিনে রাজ্যে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জট খোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে ।"