ETV Bharat / city

কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলা ভিনরাজ্যে সরানো নিয়ে শুনানি

কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলা ভিনরাজ্যে সরানো নিয়ে সিবিআইয়ের করা মামলার শুনানি ৷ যে মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের দাবির বিরোধিতা করলেন অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত চার হেভিওয়েট নেতার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি ৷

calcutta-high-court-hears-narada-case-remove-to-another-state
কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলা ভিনরাজ্যে সরানো নিয়ে শুনানি
author img

By

Published : Jun 8, 2021, 4:21 PM IST

কলকাতা, 8 জুন : নারদ মামলা এ রাজ্য থেকে সরানোর যে আবেদন সিবিআই জানিয়েছিল, তার ওপর শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে । চার অভিযুক্তর তরফে গতকাল অভিষেক মনু সিংভি সারাদিনই সওয়াল করেছেন । আজও তিনি চার হেভিওয়েটের হয়ে সওয়াল করেন ৷ আজ মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, ‘‘নারদ মামলায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে 2016 সালে । তাঁদের গ্রেফতারের পর কিছু নেতারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ৷ কিন্তু, আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার জন্য নয় । আর হেভিওয়েট নেতা মানেই এই নয় যে, তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ নথি বা তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করবেন । তাই যদি হত তাহলে 7 বছর পরে যে কোনও অভিযুক্তকেই, কোনও যুক্তি না দেখিয়েই গ্রেফতার করা যেত ৷’’

অভিষেক মনু সিংভি আরও বলেন, ‘‘আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সিবিআই আদালতের তৃতীয় তলায় যাননি । পাশাপাশি সিবিআই অফিসারদের আদালত চত্বরে ঢোকার ক্ষেত্রে কোনও বাধা ছিল না সেদিন । শুনানি হয়েছিল ভার্চুয়ালি ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের তরফে যে ছবি দেখানো হচ্ছে, সেই ভিডিয়ো রেকর্ডিংগুলি সত্যি নয় ৷ সিবিআই আদালতের সামনে তেমন ভিড় ছিলই না ৷ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে দাবি করে যেভাবে সিবিআই মামলা ভিনরাজ্যে সরাতে চাইছে, সেই দাবি খুব একটা যুক্তিসঙ্গত নয় ৷’’

তিনি সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘পাখিকে পুরোপুরি খাঁচায় বন্দি করে রাখা খারাপ । কিন্তু, আরও খারাপ খাঁচা থেকে বেরিয়ে ঝড়ের মতো উড়ে প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে ক্ষতি করা ৷’’ এর পাল্টা জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, ‘‘যে জেলের ভিতরে আছে, তাঁর কোনও ভাবেই জানা উচিত নয় যে বাইরে কী হচ্ছে ।’’ রাজ্যের হলফনামা প্রসঙ্গ তুলে সলিসিটর জেনারেল এর বিরোধিতা করেন ৷

আরও পড়ুন : সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য শেষ, নারদ মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার

তখন বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিবিআই চাইলে রাজ্যের হলফনামা গ্রহণ করা হবে ৷’’ এই সময় অভিষেক মনু সিংভি আবার বলেন, ‘‘সেদিন 129টি গাড়ি ঢুকে ছিল । এখনও বোঝা যাচ্ছে না সিবিআই কেন ঢুকতে পারল না । কলকাতা পুলিশ জানতে পারার পর গ্রিন করিডর করে সিবিআই অফিসারদের চার্জশিট দিতে নিয়ে যায় সেদিন । অন্যান্য আদালত চলছিল ৷ অথচ স্পেশাল কোর্টে সমস্যা হল বলে অভিযোগ । সিবিআইয়ের তরফে বলা হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের ভিড় ছিল আদালতে । কোথাও দেখা গেল না সেটা ? শুধু সংবাদমাধ্যম উপস্থিত ছিল সেদিন । কলকাতা পুলিশ সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ পায়নি, যে তাঁদের কোনও সমস্যা হয়েছে ৷’’

কলকাতা, 8 জুন : নারদ মামলা এ রাজ্য থেকে সরানোর যে আবেদন সিবিআই জানিয়েছিল, তার ওপর শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে । চার অভিযুক্তর তরফে গতকাল অভিষেক মনু সিংভি সারাদিনই সওয়াল করেছেন । আজও তিনি চার হেভিওয়েটের হয়ে সওয়াল করেন ৷ আজ মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, ‘‘নারদ মামলায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে 2016 সালে । তাঁদের গ্রেফতারের পর কিছু নেতারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ৷ কিন্তু, আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার জন্য নয় । আর হেভিওয়েট নেতা মানেই এই নয় যে, তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ নথি বা তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করবেন । তাই যদি হত তাহলে 7 বছর পরে যে কোনও অভিযুক্তকেই, কোনও যুক্তি না দেখিয়েই গ্রেফতার করা যেত ৷’’

অভিষেক মনু সিংভি আরও বলেন, ‘‘আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সিবিআই আদালতের তৃতীয় তলায় যাননি । পাশাপাশি সিবিআই অফিসারদের আদালত চত্বরে ঢোকার ক্ষেত্রে কোনও বাধা ছিল না সেদিন । শুনানি হয়েছিল ভার্চুয়ালি ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের তরফে যে ছবি দেখানো হচ্ছে, সেই ভিডিয়ো রেকর্ডিংগুলি সত্যি নয় ৷ সিবিআই আদালতের সামনে তেমন ভিড় ছিলই না ৷ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে দাবি করে যেভাবে সিবিআই মামলা ভিনরাজ্যে সরাতে চাইছে, সেই দাবি খুব একটা যুক্তিসঙ্গত নয় ৷’’

তিনি সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘পাখিকে পুরোপুরি খাঁচায় বন্দি করে রাখা খারাপ । কিন্তু, আরও খারাপ খাঁচা থেকে বেরিয়ে ঝড়ের মতো উড়ে প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে ক্ষতি করা ৷’’ এর পাল্টা জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, ‘‘যে জেলের ভিতরে আছে, তাঁর কোনও ভাবেই জানা উচিত নয় যে বাইরে কী হচ্ছে ।’’ রাজ্যের হলফনামা প্রসঙ্গ তুলে সলিসিটর জেনারেল এর বিরোধিতা করেন ৷

আরও পড়ুন : সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য শেষ, নারদ মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার

তখন বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিবিআই চাইলে রাজ্যের হলফনামা গ্রহণ করা হবে ৷’’ এই সময় অভিষেক মনু সিংভি আবার বলেন, ‘‘সেদিন 129টি গাড়ি ঢুকে ছিল । এখনও বোঝা যাচ্ছে না সিবিআই কেন ঢুকতে পারল না । কলকাতা পুলিশ জানতে পারার পর গ্রিন করিডর করে সিবিআই অফিসারদের চার্জশিট দিতে নিয়ে যায় সেদিন । অন্যান্য আদালত চলছিল ৷ অথচ স্পেশাল কোর্টে সমস্যা হল বলে অভিযোগ । সিবিআইয়ের তরফে বলা হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের ভিড় ছিল আদালতে । কোথাও দেখা গেল না সেটা ? শুধু সংবাদমাধ্যম উপস্থিত ছিল সেদিন । কলকাতা পুলিশ সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ পায়নি, যে তাঁদের কোনও সমস্যা হয়েছে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.