কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের (cal hc orders cbi investigation in school teacher recruitment case) । 2016 সালের পরীক্ষার ভিত্তিতে বাংলা বিষয়ে দু’জনকে চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়েছে, যাঁদের মেধাতালিকায় নামই ছিল না । এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে স্বয়ং স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) । তারপরই আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই (CBI) অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে ।
আদালত সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছে, এই দুর্নীতির পিছনে কারও হাত আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে হবে ৷ কাদের হাতের পুতুল সরকারি অফিসাররা ? এর পিছনে আর্থিক লেনদেন থাকলে তাও খুঁজে বের করুক ।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটা চরম বিস্ময়ের যে প্রার্থী নিয়োগ হয়েছে, অথচ তাদের কোনও নাম প্যানেলে নেই । কী করে এটা হল, তা খুঁজতে হবে সিবিআইকে ৷ এই নিয়োগের ব্যাপারে এসএসসি 4 জানুয়ারি চেয়ারম্যান তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছেন । তাঁদের রিপোর্টেও তালিকার বাইরে লোককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ৷ জুঁই দাস ও আজাদ আলি মির্জার নাম না থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়েছে । সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টরকে প্রাথমিক রিপোর্ট 28 মার্চ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই নির্দেশ তাদের ওয়েব সাইটে আপলোড করতে ।
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ফিরদৌস সামিম বলেন, "স্কুল সার্ভিস কমিশন হচ্ছে দুর্নীতির আখড়া । সিবিআই অনুসন্ধান ঠিকঠাক হলে দু’জন নয়, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতে পারে ।"
এদিকে অন্য একটি মামলায় গণিতের শিক্ষক নিয়োগে 6টি ভুয়ো নিয়োগপত্রের বিস্তারিত নথি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । সেই নিয়োগপত্রগুলির মেমো নম্বর চাইল আদালত । তার সঙ্গে শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টরকে বিস্তারিত রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে ৷ আগামী 7 মার্চের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে ৷
জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছেও ওই 6 ভুয়ো নিয়োগের নথি তলব করেছে আদালত ৷ আগেই ওই নিয়োগে 6 শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন : SSC Group D Recruitment Case: গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় তদন্ত কমিটির কাছে নথি দেখতে চাইল আদালত