কলকাতা, 1 জানুয়ারি : যাদবপুরের পোদ্দারনগরের একটি আবাসনের বাইরে আজ সকালে উদ্ধার হয় এক মহিলার মৃতদেহ ৷ সূত্রের খবর, গতকাল ওই আবাসনের ছাদে পার্টির আয়োজন করেছিল আবাসিকরা ৷ বর্ষবরণের সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন হোটেল ব্যবসায়ী কুন্তল সূত্রধর ও তাঁর স্ত্রী সুইটি সূত্রধর ৷ আজ সকালে সুইটি সূত্রধরের (35) দেহ উদ্ধার হয় ৷ ঘটনায় আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । তদন্তকারীদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে কয়েকটি প্রশ্ন । প্রশ্ন উঠেছে গতকাল রাতে কি মদ্যপান করেছিলেন সুইটি ? তার জেরেই কি বেসামাল হয়ে ছাদ থেকে পড়ে গেছেন তিনি ? নাকি কেউ তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ।
বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত ওই পার্টিতে ছিল মদ্যপানের আয়োজন । সঙ্গে তারস্বরে চলছিল মিউজ়িক । সূত্রের খবর এমনই ৷ তবে কুন্তলবাবুর অবশ্য দাবি, পার্টিতে যাওয়ার আগে তাঁরা দু'জনে অন্য এক জায়গায় মদ্যপান করেছিলেন । তারপর সেখান থেকে যান আবাসনের পার্টিতে । একটা সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় তিনি ঘরে চলে যান । কিন্তু সুইটি তাঁর সঙ্গে যাননি । আবাসিকরা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা রাত দু'টোর মধ্যে যে যার বাড়ি চলে গেছিলেন । কিন্তু সুইটি যাননি । রাত আড়াইটে নাগাদ ওই আবাসনের পাশের একটি বহুতলের বাসিন্দারা একটি বিকট আওয়াজ শুনতে পান । তাঁরা ফোন করেন 100 নম্বরে । পুলিশ আসে । কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর কিছু না পেয়ে ফিরে যায় ।
আজ সকালে কুন্তলবাবু ফোন করে পুলিশকে জানান, তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছায় ৷ দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর দু'টি আবাসনের মাঝে সরু গলি থেকে উদ্ধার করা হয় সুইটির মৃতদেহ । ঘটনায় রহস্যের গন্ধ থাকায় পোদ্দারনগরে যায় গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা এবং ফরেনসিক দল । তারা ঘটনাস্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে । এ দিকে কুন্তল এবং পার্টিতে থাকা আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ । সূত্র জানাচ্ছে, কুন্তলবাবুর কথায় কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেছে । সুইটির সঙ্গে তাঁর শেষ কখন দেখা হয়েছিল তাঁর বয়ানে সে বিষয়ে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে । আগামীকাল সুইটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে বলে মনে করছে লালবাজার ।