কলকাতা, 10 জুন : পরিযায়ী শ্রমিক ইশু নিয়ে একাধিকবার বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারই । কখনও তাঁদের বাড়ি ফেরানো নিয়ে, কখনও বা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে । আবারও পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রাপ্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অভিযোগ জানালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু । তিনি বলেন," মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘোষণা হলেও এখনও পর্যন্ত সরকারের ঘোষিত রেশন পেয়েছেন মাত্র 20 লাখ 26 হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। এর ফলে মোট সুবিধাভোগী শ্রমিকদের মাত্র 2.25 শতাংশ মানুষের কাছে এই সরকারি সুবিধা পৌঁছেছে । সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, মে ও জুনের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে মোট 7 লাখ 99 হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পৌঁছানোর কথা ছিল। বাস্তবে তা পৌঁছেছে মাত্র 10 হাজার 131 মেট্রিক টন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্যগুলিতে মোট 4 লাখ 43 হাজার মেট্রিক টন খাদ্য মজুত করা হয়েছে । যার মধ্যে মাত্র 10 হাজার মেট্রিক টনের কিছু বেশি পরিমাণ দ্রব্য শ্রমিকদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে ।“
মে মাসের মাঝামাঝি আত্মনির্ভর ভারত গড়তে 20 লাথ কোটি টাকার আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি । পাশাপাশি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, 4 কোটি পরিযায়ী শ্রমিকদের মে ও জুন মাসে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। যদিও সরকারি তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে, জুন মাস পর্যন্ত 20 লাখ 26 হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের হাতেই সরকারি রেশন পৌঁছেছে ।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, " বাকিদের কাছে এখনও অধরা রয়েছে সরকারি খাদ্যদ্রব্য । সমগ্র তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রক । যা প্রকাশ্যে আসার পরেই স্পষ্ট হয়ে গেছে দেশের দেউলিয়া সরকারের চরিত্র । অথচ বিতরণ না হওয়া FCI গোডাউনে থেকে নষ্ট হচ্ছে 65 লাখ টন খাদ্যশস্য । সরকার ঘোষণা করেছিল, যাঁদের কাছে রেশন কার্ড নেই, তাঁদের আগামী দুমাস প্রতি মাসে 5 কেজি চাল বা গম দেওয়া হবে । পরিবারপিছু তাঁরা পাবেন 1 কেজি করে ছোলা । 8 কোটি পরিযায়ী শ্রমিকদের এই পরিষেবা দিতে সরকারের সাড়ে 3 হাজার কোটি টাকা খরচ হবে । সেই টাকার হিসেব সরকার দেখিয়ে দেবে । অথচ পরিযায়ী শ্রমিকরা রেশন পাবে না ।"
রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার যৌথভাবে শ্রমিকদের সঙ্গে বঞ্চনা করছে । বহু পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরলেও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা।