কলকাতা, 24 জানুয়ারি : কলকাতা বিমানবন্দরের চাপ কমাতে বিকল্প বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনায় রাজ্য ৷ দিনকয়েক আগেই নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল ভাঙড়ে প্রস্তাবিত নয়া বিমানবন্দরের জন্য জমির সন্ধান পেয়েছে রাজ্য সরকার ৷ কলকাতা বিমানবন্দরের 40 কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থানের কারণে রাজ্য সরকারের কাছে ভাঙড় ছিল বিশেষ পছন্দের। কিন্তু অতীতে ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড নিয়ে আন্দোলনের কথাও ভুলে যাওয়ার নয় ৷ আর সেই ইতিহাসের কথা মাথায় রেখেই ভাঙড়ে নয়া বিমানবন্দর প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে চিন্তায় নবান্ন। পাওয়ার গ্রিড বসানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের আন্দোলন যা চেহারা নিয়েছিল, তেমনটা বিমানবন্দর তৈরির ক্ষেত্রে যে হবে না তার নিশ্চয়তা নেই ৷ তাই ভাঙড়ের বিকল্প খুঁজতে ব্যস্ত রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই নদিয়া জেলার কল্যাণীতে জমির সন্ধানও পেয়েছে রাজ্য (Beside Bhangar WB Government also considering Kalyani for new international airport) ।
যদিও সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় নির্দেশ মেনে রাজ্যের প্রথম পছন্দ এখনও ভাঙড়ই । সেখানে কোনও সমস্যা হলে বিকল্প হিসাবে কল্যাণীর কথা ভাবছে নবান্ন। কলকাতা থেকে সড়কপথে কল্যাণীর দূরত্ব 54 কিলোমিটার। তবে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ে বিমানবন্দরের জন্য জমি শনাক্তকরণের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ভাঙড়-2 নম্বর ব্লকের ভোগালি-1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জমি জেলা প্রশাসন শনাক্ত করেছে বলেও খবর।
অন্যদিকে কল্যাণীতে রয়েছে বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৷ এখানেই গড়ে উঠবে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (AIIMS)। যা নদিয়া জেলার এই শহরকে নয়া বিমানবন্দর গড়ে ওঠার অন্যতম দাবিদার করে তুলেছে ৷ কলকাতার সঙ্গে রেল এবং সড়কপথে মসৃণ যোগাযোগ কল্যাণীর। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের অনান্য জেলাগুলির সঙ্গেও বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের এই শহর সড়কপথে যুক্ত । তাই কল্যাণীতে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর গড়ে উঠলে কোনও সমস্যা তো হওয়ার কথাই নয়, বরং এই বিমানবন্দর গড়ে উঠলে কল্যাণী ও তার পার্শ্ববর্তী চাকদহ, হরিণঘাটা, গয়েশপুর, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, বাঁশবেড়িয়া, চুঁচুড়ার মানুষও ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন ৷ আসবে শিল্পের বিনিয়োগও।
আরও পড়ুন : New Airport Near Kolkata : কলকাতার কাছেই জমি খুঁজছে রাজ্য, ভাঙরে হতে পারে নয়া বিমানবন্দর !
পাশাপাশি বিমানবন্দর গড়ে উঠলে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে রাজ্য সরকার যে মেট্রো রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে চাইছে তাও দুই বিমানবন্দরের যোগাযোগ রক্ষায় অন্যতম সহায়ক হয়ে উঠবে ৷ যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারও বিনিয়োগ করতে পিছুপা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে ৷