কলকাতা, 30 মার্চ : আগামী বৃহস্পতিবার, 1 এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ৷ তার আগে মঙ্গলবার ছিল প্রচারের শেষ দিন ৷ আর সেই দিনই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কয়লাকাণ্ডে হাজিরা দিতে সিবিআই-এর দফতরে হাজির হলেন অনুপ মাঝি ওরফে লালা ৷
বঙ্গ-ভোটের দ্বিতীয় দফাতেই হচ্ছে এবারের সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল লড়াই ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সম্মুখসমরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাই লালার হাজিরার দিনক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷
স্বাভাবিক তাই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ এর পিছনে অন্য কোনও রাজনৈতিক যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ করছেন কেউ কেউ ৷
প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভঙ্কর সরকার লালার হাজিরার দিনক্ষণ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন ৷ তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনায় স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূলের গোপন আঁতাত ৷ এটা বিজেপি ও তৃণমূলের সাজানো চিত্রনাট্য ৷ এর থেকে দুই রাজনৈতিক দলই লাভের ফসল তুলতে চাইছে ৷
কয়লাকাণ্ডের তদন্ত দীর্ঘদিন চলছে ৷ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালার নামও অনেক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে ৷ কিন্তু এতদিন ধরে তদন্ত করার পরও সিবিআই ও ইডি লালার নাগাল পায়নি ৷ কেন তারা লালার নাগাল এতদিনে পেল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার ৷
তাই তিনি দাবি করেছেন যে, ভোটের আগে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর সংযুক্ত মোর্চাকে ঠেকাতেই এই কৌশল নিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি ৷
যদিও কংগ্রেস এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেও এই নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ তাঁর বক্তব্য, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে ৷ তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা এখন সঠিক সময় নয় ৷
অন্যদিকে তৃণমূলের দুই নেতা সৌগত রায় ও কুণাল ঘোষের সঙ্গে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছিল ইটিভি ভারত-এর তরফে ৷ কিন্তু তাঁরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷
আরও পড়ুন : কে এই কয়লা মাফিয়া লালা ?
তবে লালার এই হাজিরায় স্বভাবতই খুশি ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘লালা কয়লা কেলেঙ্কারির কিংপিন ৷ আমরা চাই তার শাস্তি হোক ৷ আমরা এটাও চাই যে সিবিআই ও ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই অবৈধ কারবারে জড়িত অন্যদের খুঁজে বের করুক ৷’’