কলকাতা, 7 এপ্রিল : তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস দিল নির্বাচন কমিশন ৷ নির্বাচনী প্রচারে সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য করে ভোট দেওয়ার জন্য মমতার আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে 48 ঘণ্টার মধ্যে এর উত্তর দিতে বলা হয়েছে ৷
এই নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ৷ আর সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর নির্বাচন কমিশন নোটিস দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷
বিজেপির অভিযোগ, গত 3 এপ্রিল হুগলির তারকেশ্বরে নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের কাছে আবেদন করেন যে তারা যেন অন্য দলগুলিকে ভোট দিয়ে নিজেদের ভোট ভাগ করে না দেয় ৷ বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই অভিযোগ জানিয়ে আসে ৷
এর পর নির্বাচন কমিশনের তরফে তৃণমূল নেত্রীকে নোটিস দিয়ে বলা হয়েছে যে বিজেপির অভিযোগ ও মমতার ভাষণ খতিয়ে দেখেছে তারা ৷ ওই বক্তৃতার মাধ্যমে মমতা নির্বাচন সংক্রান্ত আদর্শ আচরণ বিধি ভেঙেছেন ৷ কোন কোন ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে সেটাও ওই নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
একই সঙ্গে নোটিসের শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী প্রচারে কোনও ধর্মকে উল্লেখ করে কোনও রাজনৈতিক দল বা কোনও প্রার্থী কোনও কথা বলতে পারেন না ৷ সেটা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করার মধ্যে পড়ে ৷
আর সেই কারণে, কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজ করলেন, এখন সেটাই জানতে চায় নির্বাচন কমিশন ৷ উত্তর দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 48 ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে ৷ উত্তর না দিলেন কমিশন তাঁকে না জানিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে জানিয়ে দিয়েছে ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ না করার কথা বলে আসলে মমতা যে নির্বাচনী বিধি ভাঙছেন এই বিষয়টি প্রথম উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণে ৷ মঙ্গলবার কোচবিহারে নির্বাচনী জনসভা করেন মোদি ৷ সেই সভা থেকেই মোদি এই বিষয়টি উল্লেখ করেন ৷ তিনি জানান, এখন বিজেপি যদি সমস্ত হিন্দুদের এক হয়ে ভোট দেওয়ার কথা বলত, তাহলে কমিশনে অভিযোগ জমা পড়ত ৷ চারিদিকে হইচই হত ৷ আর কমিশনও বিজেপিকে নোটিস পাঠিয়ে দিত ৷
আরও পড়ুন : মমতার স্বপ্নপূরণে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আবেদন অধীর চৌধুরীর
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করার পরই বিজেপির তরফে সরকারি ভাবে অভিযোগ করা হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ৷ আর তার পরই এই নিয়ে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন ৷