ETV Bharat / city

কলকাতায় অস্ত্র-জালনোটসহ গ্রেপ্তার মুঙ্গেরের ব্যক্তি - arms dealer arrested

বিহারের মুঙ্গেরের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের STF । তার কাছ থেকে অস্ত্র ও জালনোট উদ্ধার হয়েছে ।

উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও ধৃত ব্যক্তি
author img

By

Published : Aug 1, 2019, 4:37 AM IST

Updated : Aug 1, 2019, 5:01 AM IST

কলকাতা, 1 অগাস্ট : ফের পুলিশের জালে অস্ত্র ব্যবসায়ী । ময়দান থানা এলাকার ডাফরিন রোড এলাকা থেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) তাকে গ্রেপ্তার করে । ধৃত ব্যক্তির নাম আখতার কাজমি ওরফে মুন্না । বাড়ি বিহারের মুঙ্গের জেলার হজরতগঞ্জে । তার কাছ 7টি সেমি ফিনিশড আগ্নেয়াস্ত্র এবং 14 হাজার টাকার জালনোট পাওয়া গেছে ।

এর আগে ময়দান থানা এলাকা থেকে জালনোট এবং সেমি ফিনিশড অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল 6 জনকে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই কাঁকিনাড়ায় বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । পরে একই ধরনের ঘটনায় আগরপাড়ার কুসুমপুর এলাকাতেও অস্ত্র কারখানার খোঁজ পাওয়া যায় । সেই সময় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল প্রচুর অস্ত্র । পরে রাজারহাটেও মেলে অস্ত্র কারখানার হদিশ । সেবারও প্রথমে কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্স গ্রেপ্তার করেছিল সাদাকত, টারজ়ান, ঋষি কুমার এবং সুমন কুমার নামে চারজনকে । তার মধ্যে ঋষি ছাড়া বাকিদের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে । ঋষির বাড়ি বিহারের বাঙ্কায় । তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় 30টি দেশি 9mm পিস্তল । চারজনকে জেরা করে জানা যায় রাজারহাটের অস্ত্র কারখানার কথা । তারপর নারায়ণপুর থানা এলাকার ছোটো গাঁথি ও দোননগরে বেআইনি অস্ত্র কারখানায় হানা দেয় STF এবং নারায়ণপুর থানার পুলিশ । সেখান থেকে উদ্ধার হয় আরও 60টি আগ্নেয়াস্ত্র । গ্রেপ্তার করা হয় দুই 'ইঞ্জিনিয়র' এবং কারখানার মালিককে ।

এই সংক্রান্ত খবর : রাজারহাটে ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ, মালিক সেই মুন্না

কারখানার মালিকের কাছ থেকে অস্ত্র ছাড়াও উদ্ধার হয় আট লাখ আশি হাজার টাকার জালনোট । তাকে জেরা করে জানা যায়, আরও একটি অস্ত্র কারখানা চালাত সে । টাস্ক ফোর্স সেখানে গিয়ে দেখতে পায় অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া ছোটো সেই ঘরে বসানো আছে লেদ মেশিন । আছে তৈরি হওয়া পিস্তলও । সেখান থেকে উদ্ধার হয় 10টি পিস্তল ।

এবছর মে মাসের শেষে স্ট্র্যান্ড রোড থেকে 3 জনকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মুঙ্গের থেকে লোক এনে মধ্য কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে অস্ত্রগুলি হাতবদল করা হত । ধৃতদের জেরা করে হাওড়াতে আরও একটি এ ধরনের কারখানার হদিশ মেলে ।

লাগাতার বেআইনি অস্ত্র কারখানা উদ্ধারের পর আরও একটা বিষয় নিশ্চিত গোয়েন্দারা । তাঁরা জানাচ্ছেন, মুঙ্গের থেকে এসে এই সব দুষ্কৃতীদের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রের দাম অনেকটাই কম । যেখানে 60-70 হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছিল এক-একটি পিস্তল কিনতে, সেখানে মাত্র 10-15 হাজারের মিলে যাচ্ছে এই সব কারখানায় তৈরি অস্ত্র ।

এই সংক্রান্ত খবর : ভোটের আগে অস্ত্র কারখানার হদিশ কুলতলিতে

এবারও কি মোডাস অপারেন্ডি একই ? তদন্তকারীদের সন্দেহ, আগের কয়েকটি ঘটনার মতো ফের কলকাতার আশপাশে অস্ত্র কারখানা তৈরি হয়নি তো ! আপাতত আখতার কাজমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ।

কলকাতা, 1 অগাস্ট : ফের পুলিশের জালে অস্ত্র ব্যবসায়ী । ময়দান থানা এলাকার ডাফরিন রোড এলাকা থেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) তাকে গ্রেপ্তার করে । ধৃত ব্যক্তির নাম আখতার কাজমি ওরফে মুন্না । বাড়ি বিহারের মুঙ্গের জেলার হজরতগঞ্জে । তার কাছ 7টি সেমি ফিনিশড আগ্নেয়াস্ত্র এবং 14 হাজার টাকার জালনোট পাওয়া গেছে ।

এর আগে ময়দান থানা এলাকা থেকে জালনোট এবং সেমি ফিনিশড অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল 6 জনকে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই কাঁকিনাড়ায় বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । পরে একই ধরনের ঘটনায় আগরপাড়ার কুসুমপুর এলাকাতেও অস্ত্র কারখানার খোঁজ পাওয়া যায় । সেই সময় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল প্রচুর অস্ত্র । পরে রাজারহাটেও মেলে অস্ত্র কারখানার হদিশ । সেবারও প্রথমে কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্স গ্রেপ্তার করেছিল সাদাকত, টারজ়ান, ঋষি কুমার এবং সুমন কুমার নামে চারজনকে । তার মধ্যে ঋষি ছাড়া বাকিদের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে । ঋষির বাড়ি বিহারের বাঙ্কায় । তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় 30টি দেশি 9mm পিস্তল । চারজনকে জেরা করে জানা যায় রাজারহাটের অস্ত্র কারখানার কথা । তারপর নারায়ণপুর থানা এলাকার ছোটো গাঁথি ও দোননগরে বেআইনি অস্ত্র কারখানায় হানা দেয় STF এবং নারায়ণপুর থানার পুলিশ । সেখান থেকে উদ্ধার হয় আরও 60টি আগ্নেয়াস্ত্র । গ্রেপ্তার করা হয় দুই 'ইঞ্জিনিয়র' এবং কারখানার মালিককে ।

এই সংক্রান্ত খবর : রাজারহাটে ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ, মালিক সেই মুন্না

কারখানার মালিকের কাছ থেকে অস্ত্র ছাড়াও উদ্ধার হয় আট লাখ আশি হাজার টাকার জালনোট । তাকে জেরা করে জানা যায়, আরও একটি অস্ত্র কারখানা চালাত সে । টাস্ক ফোর্স সেখানে গিয়ে দেখতে পায় অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া ছোটো সেই ঘরে বসানো আছে লেদ মেশিন । আছে তৈরি হওয়া পিস্তলও । সেখান থেকে উদ্ধার হয় 10টি পিস্তল ।

এবছর মে মাসের শেষে স্ট্র্যান্ড রোড থেকে 3 জনকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মুঙ্গের থেকে লোক এনে মধ্য কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে অস্ত্রগুলি হাতবদল করা হত । ধৃতদের জেরা করে হাওড়াতে আরও একটি এ ধরনের কারখানার হদিশ মেলে ।

লাগাতার বেআইনি অস্ত্র কারখানা উদ্ধারের পর আরও একটা বিষয় নিশ্চিত গোয়েন্দারা । তাঁরা জানাচ্ছেন, মুঙ্গের থেকে এসে এই সব দুষ্কৃতীদের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রের দাম অনেকটাই কম । যেখানে 60-70 হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছিল এক-একটি পিস্তল কিনতে, সেখানে মাত্র 10-15 হাজারের মিলে যাচ্ছে এই সব কারখানায় তৈরি অস্ত্র ।

এই সংক্রান্ত খবর : ভোটের আগে অস্ত্র কারখানার হদিশ কুলতলিতে

এবারও কি মোডাস অপারেন্ডি একই ? তদন্তকারীদের সন্দেহ, আগের কয়েকটি ঘটনার মতো ফের কলকাতার আশপাশে অস্ত্র কারখানা তৈরি হয়নি তো ! আপাতত আখতার কাজমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ।

Intro:কলকাতা, ৩১ জুলাই: আবার সেই অস্ত্র এবং জাল নোটের মেলবন্ধন। আবারও গ্রেপ্তার মুঙ্গেরি অস্ত্র ব্যবসায়ী। এবার ময়দান থানা এলাকার ডাফরিন রোডে। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে 7টি সেমি ফিনিসট আগ্নেয়াস্ত্র এবং 14 হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করলো কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম আখতার কাজমি ওরফে মুন্না। তার বাড়ি বিহারের মুঙ্গের জেলার হযরতগঞ্জে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে STF। আসলে তদন্তকারীদের সন্দেহ আগের কয়েকটি ঘটনার মতো ফের কলকাতার আশেপাশে অস্ত্র কারখানা তৈরি হয়নি তো!Body:এর আগে মদন থানা এলাকা থেকে প্রথমে জাল নোট এবং ফেমিনিস্ট অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল 6 জনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই কাকিনাড়া অ্যাক্টর কারখানার ঘাটে বড়োসড়ো অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। পরে একই ধরনের ঘটনায় আগরপাড়ার কুসুমপুর এলাকাতেও অস্ত্র কারখানার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল প্রচুর অস্ত্র। পরে রাজারহাটেও মেলে অস্ত্র কারখানার হদিশ। সেবাও প্রথমে কলকাতা পুলিশের টাস্কফোর্স গ্রেপ্তার করেছিল সাদাকত, টারজ়ান, ঋষি কুমার এবং সুমন কুমারকে। এদের মধ্যে ঋষি ছাড়া বাকিদের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। ঋষির বাড়ি বিহারের বাঙ্কায়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩০ টি দেশি ৯ mm পিস্তল। চারজনকে জেরা করে জানা যায় রাজারহাটের অস্ত্র কারখানার কথা। তারপর সন্ধ্যায় নারায়ণপুর থানা এলাকার ছোটো গাঁথি ও দোননগরে বেআইনি অস্ত্র কারখানায় হানা দেয় STF (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স) এবং নারায়ণপুর থানার পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় আরও ৬০ টি আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেপ্তার করা হয় দুই "ইঞ্জিনিয়র" সহ কারখানার মালিক মুন্নাকে।

মুন্নার কাছ থেকে অস্ত্র ছাড়াও উদ্ধার হয় আট লাখ আশি হাজার টাকার জাল নোট। কারখানা থেকে মুন্নার দুই সাগরেদ বা "ইঞ্জিনিয়রকে"। তাদের নাম শামিম আলম এবং মহম্মদ সোনু। মুন্নাকে জেরা করে জানা যায়, আরও একটি অস্ত্র কারখানা চালাত সে। টাস্কফোর্স সেখানে গিয়ে দেখতে পায় অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া ছোট্ট সেই ঘরে বসানো আছে লেদ মেশিন। আছে তৈরি হওয়া পিস্তলও। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১০টি পিস্তল।

ফের এবছর মে মাসের শেষে স্ট্র্যান্ড রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মুঙ্গের থেকে লোক এনে মধ্য কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে অস্ত্রগুলি হাতবদল করা হত। এই ঘটনায় তিন জন যুবককে বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক করে STF। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ গ্রেপ্তার দেখায় । ধৃতদের জেরা করে হাওড়াতে আরও একটি এ ধরনের কারখানার হদিশ মেলে । দুই কারখানা থেকে দেশি অস্ত্র, জাল নোট-সহ প্রচুর কাঁচামাল-যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে । ধৃতদের নাম মহম্মদ চাঁদ ওরফে সোনু, মহম্মদ সুলতান ও মহম্মদ শিল্টু। এরা প্রত্যেকেই বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। অস্ত্র ছাড়াও ছিল জাল নোট ছাপার কারবারও ।

লাগাতার বেআইনি অস্ত্র কারখানা উদ্ধারের পর আরও একটা বিষয় নিশ্চিত গোয়েন্দারা । তাঁরা জানাচ্ছেন, মুঙ্গের থেকে এসে এই সব দুষ্কৃতীদের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রের দাম অনেকটাই কম । যেখানে 60-70 হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছিল এক-একটি পিস্তল কিনতে, সেখানে মাত্র 10-15 হাজারের মিলে যাচ্ছে এই সব কারখানায় তৈরি অস্ত্র ।Conclusion:এবারও কি মোডাস অপারেন্ডি একই। আপাতত এই মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
Last Updated : Aug 1, 2019, 5:01 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.