ETV Bharat / city

বেকসুর খালাসের নির্দেশ আদালতের, জানতেই পারলেন না সুশীল রায়

উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ না মেলায় আজ বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ তিন নকশাল নেতাকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে । তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ ছিল ।

author img

By

Published : Jun 21, 2019, 9:50 PM IST

Updated : Jun 21, 2019, 10:39 PM IST

ছবিটি প্রতীকী

কলকাতা, 21 জুন : 14 বছর পর পেলেন বেকসুর খালাস । কিন্তু মুক্তির স্বাদ পাওয়ার আগেই মুক্ত হয়েছেন তিনি । জেল থেকে নয় । পৃথিবী থেকে । তাই আজ হাইকোর্টের এই রায়ে যখন প্রকৃতির আলো দেখার প্রহর গুনছেন তাঁর দুই সহযোগী । তখন তাঁদের আনন্দেই নিজেদের মানুষকে খুঁজে পাচ্ছে সুশীলের পরিবার ।

অভিযোগ ছিল রাষ্ট্রদ্রোহিতার । নিম্ন আদালত সাজা দিয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের । কিন্তু নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে 2006 সালে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিন নকশাল নেতা । 14 বছর ধরে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ । কিন্তু অবশেষে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ না মেলায় আজ বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে । কিন্তু , তাঁদের মধ্যে সুশীল রায় 2014 সালে মারা যান ।

2005 সালে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সন্তোষ দেবনাথ, পতিতপাবন হালদার ও সুশীল রায় নামে তিনজনকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে ঝাড়গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তাঁদের বিরুদ্ধে 124A,121 ও 122 নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয় । তাঁদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে পুলিশের বক্তব্য ছিল, তাঁরা ঝাড়্গ্রামের তমাজুড়ি উপস্থাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে 30- 41 জন লোক নিয়ে সভার আয়োজন করেছিল । সেখানে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে নামার বার্তা দিচ্ছিল । এরপর ওই তিনজনকে আটক করে তাঁদের হিন্দমোটরের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে জিলেটিন স্টিক, থ্রি নট থ্রি ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহিতা মূলক বইপত্র পাওয়া যায় । আর সেকারণেই তাঁদের সেসময় গ্রেপ্তার করা হয় ।

দেখুন ভিডিয়ো

যদিও মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী অমর্ত্য ঘোষ ও সোমদ্যুতি পারেখ জানান, যে ঘরে ওরা ভাড়া থাকত বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় সেই ঘরের চাবি ওদের কাছে ছিল না । পুলিশের তরফ থেকে হিন্দমোটর এলাকায় বাড়ি ভাড়ার যে চুক্তিপত্র দেখানো হয় তা পরীক্ষা করতে গিয়ে তথ্যে অসংগতি পাওয়া যায় । চুক্তিপত্রে দেখা যায় শুধুমাত্র বাড়ির মালিকের সই আছে চুক্তিপত্রে । কিন্তু সই নেই অভিযুক্তদের । ফলে ওরা আদৌ সেখানে ছিল কি না তা স্পষ্ট নয় । এছাড়াও, ভাড়াবাড়িতে পতিতপাবন কোনওদিন যাননি । সাক্ষ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায়, তাঁরা নিজেরা ওই বাড়িতে আসেননি কোনওদিন । পুলিশ তাঁদের খাইয়ে-দাইয়ে একদিন জোর করে ধরে নিয়ে এসেছিল । আইনজীবীদের অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছিল অভিযুক্ত সন্তোষ দেবনাথকে হুগলির হরিপাল থেকে ধরা হয়েছিল । কিন্তু পরে জানা যায় তাঁকে ধরা হয়েছিল বড়বাজার থেকে ।

কলকাতা, 21 জুন : 14 বছর পর পেলেন বেকসুর খালাস । কিন্তু মুক্তির স্বাদ পাওয়ার আগেই মুক্ত হয়েছেন তিনি । জেল থেকে নয় । পৃথিবী থেকে । তাই আজ হাইকোর্টের এই রায়ে যখন প্রকৃতির আলো দেখার প্রহর গুনছেন তাঁর দুই সহযোগী । তখন তাঁদের আনন্দেই নিজেদের মানুষকে খুঁজে পাচ্ছে সুশীলের পরিবার ।

অভিযোগ ছিল রাষ্ট্রদ্রোহিতার । নিম্ন আদালত সাজা দিয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের । কিন্তু নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে 2006 সালে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিন নকশাল নেতা । 14 বছর ধরে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ । কিন্তু অবশেষে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ না মেলায় আজ বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে । কিন্তু , তাঁদের মধ্যে সুশীল রায় 2014 সালে মারা যান ।

2005 সালে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সন্তোষ দেবনাথ, পতিতপাবন হালদার ও সুশীল রায় নামে তিনজনকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে ঝাড়গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তাঁদের বিরুদ্ধে 124A,121 ও 122 নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয় । তাঁদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে পুলিশের বক্তব্য ছিল, তাঁরা ঝাড়্গ্রামের তমাজুড়ি উপস্থাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে 30- 41 জন লোক নিয়ে সভার আয়োজন করেছিল । সেখানে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে নামার বার্তা দিচ্ছিল । এরপর ওই তিনজনকে আটক করে তাঁদের হিন্দমোটরের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে জিলেটিন স্টিক, থ্রি নট থ্রি ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহিতা মূলক বইপত্র পাওয়া যায় । আর সেকারণেই তাঁদের সেসময় গ্রেপ্তার করা হয় ।

দেখুন ভিডিয়ো

যদিও মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী অমর্ত্য ঘোষ ও সোমদ্যুতি পারেখ জানান, যে ঘরে ওরা ভাড়া থাকত বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় সেই ঘরের চাবি ওদের কাছে ছিল না । পুলিশের তরফ থেকে হিন্দমোটর এলাকায় বাড়ি ভাড়ার যে চুক্তিপত্র দেখানো হয় তা পরীক্ষা করতে গিয়ে তথ্যে অসংগতি পাওয়া যায় । চুক্তিপত্রে দেখা যায় শুধুমাত্র বাড়ির মালিকের সই আছে চুক্তিপত্রে । কিন্তু সই নেই অভিযুক্তদের । ফলে ওরা আদৌ সেখানে ছিল কি না তা স্পষ্ট নয় । এছাড়াও, ভাড়াবাড়িতে পতিতপাবন কোনওদিন যাননি । সাক্ষ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায়, তাঁরা নিজেরা ওই বাড়িতে আসেননি কোনওদিন । পুলিশ তাঁদের খাইয়ে-দাইয়ে একদিন জোর করে ধরে নিয়ে এসেছিল । আইনজীবীদের অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছিল অভিযুক্ত সন্তোষ দেবনাথকে হুগলির হরিপাল থেকে ধরা হয়েছিল । কিন্তু পরে জানা যায় তাঁকে ধরা হয়েছিল বড়বাজার থেকে ।

Intro:১৪ বছর জেল খাটার পর মুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের Body:

মানস নস্কর---

রাস্ট্রদ্রহীতার অপরাধে ১৪ বছর জেল খাটার পর মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

কলকাতা ২১ জুনঃ
১৪ বছর পরে বেকসুর খালাস পেলেন তিন নকশালবাদী আন্দোলনের নেতা।নকশালবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল ২০০৫ সালে।নিম্ন আদালত যাবজ্জীবন দিয়েছিল।এরপর ২০০৬ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তারা।কিন্ত ওদের দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে পুলিশ উপ যুক্ত তথ্য প্রমান দিতে না পারায় হাইকোর্ট ১৪ বছর পর আজ ওদের বেকসুর খালাস দিল।বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।

২০০৫ সালে পুলিশ সন্তোষ দেবনাথ, পতিতপাবন হালদার ও শুশীল রায় নামে তিনজনকে।দেশদ্রোহীতার অপরাধে 124A,121,122ধারায় ঝাড়গ্রাম থেকে। আন্দোলনকারীদের ঝাড়্গ্রামের তমাজুড়ি উপস্থাথ্য কেন্দ্রের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য ওরা ঐ খানে ৩০-৪০ জন লোককে নিয়ে ঝাড়্গ্রামের একটা জায়গায় বসে সভা করছিল।ওরা লোকজনকে বোঝাচ্ছিল যাতে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে নামে মানুষ।কিন্ত সেই সময় তারা ঐ খানে একটা মিটিং করছিল। মুলত কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা। এদের মধ্যে সুশীল রায় ২০১৪ সালে মারা গেছেন।

কিন্ত পুলিশ জানায় ওদেরকে ধরা হয়েছিল হিন্দমোটরের একটি ঠিকানা থেকে যেখানে ওরা ভাড়া থাকতো। ওরা নাকি হিন্দমোটরের ১৯৯ বটতলা লেনের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ওদের কাছ থেকে জিলেটিন স্টিক,থ্রি নটথ্রি ছাড়াও রাস্ট্রদ্রোহীতা মুলক অনেক বইপত্র পাওয়া গেছিল বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। কিন্ত মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী অমর্ত্য ঘোষ ও সোমদূতী পারেখ জানান," "পুলিশ যে ঘরে ওরা ভাড়া থাকতো বলে জানিয়েছে সেই ঘরের চাবি ওদের কাছে ছিল না।বাড়ি ভাড়ার যে চুক্তিপত্র দেখানো হয়েছে তাতে গোলমাল পাওয়া যায়। চুক্তি পত্রে দেখা যায় শুধুমাত্র বাড়ি মালিকের সই রয়েছে। আদৌ ওরা ওখানে ছিল না। ।যে বাড়িতে ওরা ছিল সেই বাড়তে পতিত পাবন কোন দিন আসেনি।সাক্ষী যারা ছিল তারা জানায় তারা নিজেরা আসেনি।পুলিশ তাদের খাইয়ে দাইয়ে আগের দিন জোর করে ধরে নিয়ে এসেছিল।সন্তোষ দেবনাথ কে ধরা হয়েছিল হরিপাল থেকে বলে জানায় পুলিশ।কিন্ত আসলে তাকে ধরা হয়েছিল বড়বাজার থেকে।"Conclusion:
Last Updated : Jun 21, 2019, 10:39 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.