কলকাতা, 8 মে : তৃণমূল কংগ্রেসের বছরের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি 21 শে জুলাইয়ের সমাবেশ এবারে আদৌও হবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন শীর্ষ নেতারা । তবে সমাবেশ হোক বা না হোক, লকডাউনে কেমন আছেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ-খবর নিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । শুধু খোঁজখবর নেওয়া নয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে শহিদদের পরিবারের সদস্যরা যাতে ভালো থাকেন তার জন্য পাঠালেন উপহার ও খাদ্যসামগ্রী।
1993 সালের 21 শে জুলাই শহিদ হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের 13 জন কর্মী । তাঁদের স্মরণেই প্রতি বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলায় তাঁর দলের তরফ থেকে বৃহত্তর সমাবেশ করে চলেছেন । তবে এবারে কোরোনা পরিস্থিতিতে সমাবেশ হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিচ্ছে । যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও কিছুই জানানো হয়নি । তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে শহিদ পরিবারের মানুষেরা কেমন রয়েছেন তাঁর খোঁজ-খবর নিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রতিনিধি পাঠিয়ে খোঁজ নিলেন তিনি । শহিদের পরিবারের সদস্যরা যাতে ভাল থাকেন তার জন্য পাঠালেন উপহার ও খাদ্যসামগ্রী ।
সেরকমই এক শহিদ বরানগরের বিশ্বনাথ রায়ের বাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে আসেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট তপাদার । কোরোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দল পাশে রয়েছে বলে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির তরফ থেকে শহিদ পরিবারকে বার্তা দেন তিনি । তাঁদের হাতে তুলে দেন উপহার ও খাদ্যসামগ্রী । বিশ্বনাথ রায়ের স্ত্রী মিতালী রায় এবং পুত্রের উদ্দেশ্যে অভিষেকের প্রতিনিধি সম্রাট তপাদার জানান যে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকরা ওনাদের পাশে সদাসর্বদা থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ ।