হাওড়া, 9 ফেব্রুয়ারি : আজ হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় CAA এর সমর্থনে মিছিল করেন BJP নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, "তৃণমূল সিন্ডিকেটের দল ৷ আর BJP মানুষ সেবার দল ৷ BJP গুজরাতের দুই মহান মানুষ নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের দল ৷ তাঁরা আমাদের শিখিয়েছেন মানুষের সঙ্গে থাকো ৷ মানুষের সেবা করো ৷ মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হও ৷"
তিনি আরও বলেন, "দেশ ভাগের সময় 7 শতাংশ মুসলিম এই দেশ ছেড়ে যেতে চাননি ৷ একইভাবে 27 শতাংশ অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পাকিস্তান ছেড়ে এদেশে আসতে চাননি ৷ 1950 সালে লিয়াকৎ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় দু'দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য । আজকে ভারতে মুসলিমরা নিরাপত্তা পান ৷ তাই তারা 7 শতাংশ থেকে বেড়ে 35 শতাংশ হয়েছে ৷ আর অন্যদিকে নিরাপত্তা পায়নি বলে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে আমরা 27 শতাংশ থেকে কমে 3 শতাংশে নেমে গেছি ৷ যারা রাতের অন্ধকারে প্রাণ বাঁচাতে, ইজ্জত বাঁচাতে পালিয়ে এসেছিল ৷ তারা কোথায় আশ্রয় নেবে ? তারা তো ভারত মায়ের কোলেই আশ্রয় নেবে ৷ জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধি থেকে মনমোহন সিং সবাই বলেছিলেন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত ৷ কিন্তু ওঁরা চেয়ার, সরকার পড়ে যাওয়ার ভয় পেয়েছিল ৷ কারণ, কারও ছাতিটা তো আর 56 ইঞ্চি নয় ৷ নরেন্দ্র মোদি এই আইন বলবৎ করেছেন ৷ উনি সরকার পড়ে যাওয়ার ভয় পান না ৷ উনি চেয়ারের ভয় পান না ৷ উনি দেশের সেবা করেন ৷ "
তিনি আরও বলেন, "দেশদ্রোহীরা আজ বিভিন্ন পার্টির জোরে দেশকে টুকরো টুকরো করার জন্য চক্রান্ত করছে ৷ দেশকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে ৷ কোনও রাজনৈতিক দল এটা না রুখলেও নরেন্দ্র মোদির দল এটা রুখবে ৷ আর আমি দেশদ্রোহীদের বলতে চাই, আপনারা শুধরে যান ৷ আর আপনারা না শুধরলে আমরা জানি কীভাবে শুধরে দিতে হয় ৷ " রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই ছিঃ ছিঃ ক্যা ক্যা যাই করুক, যে আইন হয়েছে সেই আইন বলবৎ হবে ৷ অন্য দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা নাগরিকত্ব পাবে ৷ "