দুর্গাপুর ,26 মে : কাঁকসার শুলকুনি পাড়ায় পরে এবার শেরপুর এলাকায় মত্ত ব্যক্তিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর বৃদ্ধ স্বামী। বেআইনি মদের রমরমা কারবার কাঁকসা থানার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে। আর তাই নিয়েই বাড়ছে সংঘাত ।
সোমবার কাঁকসা থানা এলাকার পানাগড় শুলকুনি পাড়াতে একটি বেআইনি মদের ঠেক থেকে মদ খাওয়ার পর মহিলাদেরকে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই পাড়ার মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। বেশ কয়েকজন মহিলাসহ 14 জন আহত হন ।10 জনকে কাঁকসা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে ।সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার কাঁকসা থানা এলাকার শেরপুরে মত্ত ব্যক্তিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য সুমিত্রা রুইদাস ও তাঁর বৃদ্ধ স্বামী এবং এলাকার বেশ কয়েকজন মহিলা।
সুমিত্রা দেবীর অভিযোগ ,"মঙ্গলবার দুপুরে পিন্টু শেখ আরও দুজন আমাদের পাড়ার টাইম কলটি ভেঙে দেয়। একজনের বাড়ি টালির ছাউনিতেও ভাঙচুর চালায়। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমার মুখে ঘুষি মারে। আমার স্বামী বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতেই তাঁকে আছাড় মেরে ফেলে দেয় ।তার আগে আরও দু একজন পিন্টু শেখদের হাতে প্রহৃত হন ।" ঘটনাস্থানে কাঁকসা থানার পুলিশ আসে। এলাকার মানুষ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। কাঁকসা থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য সুমিত্রা রুইদাস বলেন ,"এরা প্রতিদিন মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় অশ্রাব্য গালিগালাজ করে । মহিলাদেরকে কটূক্তি করার সঙ্গে সঙ্গে অকথ্য ভাষায় তাদের সঙ্গে কথা বলে। আজকে তারা রাস্তার কলগুলো ভেঙে দিয়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলে একজনের টালির বাড়িও ভেঙে ফেলে। আমি পঞ্চায়েত সদস্য অথচ আমাকেও মারধর করার সঙ্গে আমার স্বামীকেও আছাড় মেরে রাস্তায় ফেলে দেয় ।"
কাঁকসা থানার পুলিশ স্থানীয়দেরকে অভিযোগ জানানোর কথা বলে যায়। বেআইনি মদের ঠেকের বিরুদ্ধে এবং যে বা যারা এই ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর করে জমা দেওয়ার কথা বলা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে ।কাঁকসা থানা এলাকায় পরপর দুদিন মদ্যপদের অত্যাচার প্রকাশ্যে এল। এই ঘটনায় শেরপুরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে । ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ।