ETV Bharat / city

দুর্গাপুরে পরিত্যক্ত পুলিশ ক্যাম্পে অনাহারে দিন কাটছে বৃদ্ধা হামিদার

author img

By

Published : Jun 26, 2021, 7:38 PM IST

দুর্গাপুরের বনকাটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতর চুরির উপদ্রব কমানোর জন্য একটি পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছিল ৷ এখন সেটা পরিত্যক্ত ৷ সেখানেই থাকেন বৃদ্ধা হামিদা ৷

দুর্গাপুরে পরিত্যক্ত পুলিশ ক্যাম্পে অনাহারে দিন কাটছে বৃদ্ধা হামিদার

দুর্গাপুর, ২৬ জুন : স্বামী পরিত্যক্তা, ভবঘুরে সন্তান নিরুদ্দেশ, গত আট বছর ধরে ৬০ বছরের বৃদ্ধা হামিদার তাই মাথা গোঁজার ঠাঁই দুর্গাপুরের বনকাটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত পুলিশ ক্যাম্প ৷ সেখানেই অনাহারে, আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর ৷

স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ক্যাম্প ৷ এটা তৈরি হয়েছিল বনকাটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতর চুরির উপদ্রব কমানোর জন্য ৷ কিন্তু আর সেই ক্যাম্প নেই ৷ পুলিশ ক্যাম্প লেখাটুকুই আছে । সেখানে উপদ্রব সাপ থেকে বন্য জীবজন্তুর । পরিত্যক্ত ওই ক্যাম্পে কোনও দরজা, জানালা নেই ৷ এমনকী, বিদ্যুতের ব্যবস্থাও নেই । ঘরের মধ্যেই উইপোকার ঢিবি । তার মধ্যেই কোনও মতে তিনি থাকেন ৷ খাবার জোটে ভিক্ষা করে ৷ তাও রোজ জোটে না ৷ অধিকাংশ দিনই না খেয়ে কাটে তাঁর ৷

আরও পড়ুন : গান্ধি মূর্তির পাদদেশে আইএসএফের বিক্ষোভ, গ্রেফতার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি

বৃদ্ধা হামিদা জানান, খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটে ৷ রাতে সাপের উপদ্রব এবং বন্য জীবজন্তুদের কারণে এই ঘরে বাস করতে পারেন না । কোনও কোনও দিন ভয়ে পাশেই অযোধ্যা গ্রামের কোনও জায়গাতে কষ্টের সঙ্গে রাত কাটাতে হয় । বৃদ্ধার অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকেও কোনওরকম সাহায্য বা খাদ্যসামগ্রী মেলে না ৷

অভিযোগ জানাতে জানাতেই হামিদা আবার ফিরে যান অতীতে ৷ জানান, তাঁর বিয়ে হয়েছিল কাঁকসার জাঠগড়িয়া গ্রামে । স্বামী ছেড়ে দেওয়ায় তিনি তাঁর বাবার বাড়ি অযোধ্যায় চলে আসেন ৷ সে বহু বছর আগের কথা ৷ তখন বাম আমল । তারপর তাঁর বাবা-মা মারা যান । জমি জায়গা চলে যায় । তিনি মাটির বাড়ি তৈরি করেন ৷ খড়ের ছাউনি দেওয়া সেই বাড়িও আগুনে পুড়ে যায় । তার পর থেকে তিনি বনকাটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত পুলিশ ক্যাম্পে থাকেন ৷

আরও পড়ুন : Howrah Rail Museum : সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হবে রেলের মিউজিয়াম

এত কষ্টের মধ্যেও ছেলের কথা বলতে গিয়ে চোখ চিকচিক করে ওঠে হামিদার ৷ ফুটে ওঠে আশার আলো ৷ হারিয়ে যাওয়া ছেলে একদিন ফিরে আসবে বলেই তাঁর বিশ্বাস ৷ তাই তিনি এখনও ছেলের অপেক্ষায় দিন গুনছেন । কিন্তু সেই দিন পর্যন্ত তো তাঁকে বেঁচে থাকতে হবে ৷ সেই কারণে তিনি কাঁদতে কাঁদতে আবেদন করেন, যদি তাঁর রেশন কার্ড এবং একটি বাড়ি তৈরি হয়, তাহলে তিনি কষ্ট থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন । সামান্য কিছু খেয়ে পরে বাঁচতে পারবেন ৷

বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিন্টু বাগদি জানান, ওই বৃদ্ধার কোনও কাগজপত্র না থাকায় কোনও কিছু করা যায়নি । পঞ্চায়েত থেকে কিছু খাদ্যসামগ্রী মাঝে মধ্যে দেওয়া হয় ৷

আরও পড়ুন : নারী সুরক্ষায় এবার লালবাজারের হাতিয়ার ‘ডায়াল 100’

দুর্গাপুর, ২৬ জুন : স্বামী পরিত্যক্তা, ভবঘুরে সন্তান নিরুদ্দেশ, গত আট বছর ধরে ৬০ বছরের বৃদ্ধা হামিদার তাই মাথা গোঁজার ঠাঁই দুর্গাপুরের বনকাটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত পুলিশ ক্যাম্প ৷ সেখানেই অনাহারে, আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর ৷

স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ক্যাম্প ৷ এটা তৈরি হয়েছিল বনকাটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতর চুরির উপদ্রব কমানোর জন্য ৷ কিন্তু আর সেই ক্যাম্প নেই ৷ পুলিশ ক্যাম্প লেখাটুকুই আছে । সেখানে উপদ্রব সাপ থেকে বন্য জীবজন্তুর । পরিত্যক্ত ওই ক্যাম্পে কোনও দরজা, জানালা নেই ৷ এমনকী, বিদ্যুতের ব্যবস্থাও নেই । ঘরের মধ্যেই উইপোকার ঢিবি । তার মধ্যেই কোনও মতে তিনি থাকেন ৷ খাবার জোটে ভিক্ষা করে ৷ তাও রোজ জোটে না ৷ অধিকাংশ দিনই না খেয়ে কাটে তাঁর ৷

আরও পড়ুন : গান্ধি মূর্তির পাদদেশে আইএসএফের বিক্ষোভ, গ্রেফতার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি

বৃদ্ধা হামিদা জানান, খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটে ৷ রাতে সাপের উপদ্রব এবং বন্য জীবজন্তুদের কারণে এই ঘরে বাস করতে পারেন না । কোনও কোনও দিন ভয়ে পাশেই অযোধ্যা গ্রামের কোনও জায়গাতে কষ্টের সঙ্গে রাত কাটাতে হয় । বৃদ্ধার অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকেও কোনওরকম সাহায্য বা খাদ্যসামগ্রী মেলে না ৷

অভিযোগ জানাতে জানাতেই হামিদা আবার ফিরে যান অতীতে ৷ জানান, তাঁর বিয়ে হয়েছিল কাঁকসার জাঠগড়িয়া গ্রামে । স্বামী ছেড়ে দেওয়ায় তিনি তাঁর বাবার বাড়ি অযোধ্যায় চলে আসেন ৷ সে বহু বছর আগের কথা ৷ তখন বাম আমল । তারপর তাঁর বাবা-মা মারা যান । জমি জায়গা চলে যায় । তিনি মাটির বাড়ি তৈরি করেন ৷ খড়ের ছাউনি দেওয়া সেই বাড়িও আগুনে পুড়ে যায় । তার পর থেকে তিনি বনকাটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত পুলিশ ক্যাম্পে থাকেন ৷

আরও পড়ুন : Howrah Rail Museum : সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হবে রেলের মিউজিয়াম

এত কষ্টের মধ্যেও ছেলের কথা বলতে গিয়ে চোখ চিকচিক করে ওঠে হামিদার ৷ ফুটে ওঠে আশার আলো ৷ হারিয়ে যাওয়া ছেলে একদিন ফিরে আসবে বলেই তাঁর বিশ্বাস ৷ তাই তিনি এখনও ছেলের অপেক্ষায় দিন গুনছেন । কিন্তু সেই দিন পর্যন্ত তো তাঁকে বেঁচে থাকতে হবে ৷ সেই কারণে তিনি কাঁদতে কাঁদতে আবেদন করেন, যদি তাঁর রেশন কার্ড এবং একটি বাড়ি তৈরি হয়, তাহলে তিনি কষ্ট থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন । সামান্য কিছু খেয়ে পরে বাঁচতে পারবেন ৷

বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিন্টু বাগদি জানান, ওই বৃদ্ধার কোনও কাগজপত্র না থাকায় কোনও কিছু করা যায়নি । পঞ্চায়েত থেকে কিছু খাদ্যসামগ্রী মাঝে মধ্যে দেওয়া হয় ৷

আরও পড়ুন : নারী সুরক্ষায় এবার লালবাজারের হাতিয়ার ‘ডায়াল 100’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.