কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর, বৃহস্পতিবার কার্যত এই অভিযোগই করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এ দিন বিজেপি দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই নিয়ে একাধিক দাবি করেন তিনি ৷ সেখানে বিরোধী দলনেতা কাটমানি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স কেনা থেকে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যুক্ত থাকা রাজ্যের আমলাদের নামে-বেনামে সম্পত্তি থাকার অভিযোগ করেছেন ৷
তিনি দাবি করেন যে গত বছরের 17 অক্টোবর কোনোরকম দরপত্র না ডেকেই মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাঞ্জাব থেকে প্রায় 8 কোটির টাকার অ্যাম্বুলেন্স কিনিয়েছেন । শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "কেন বাংলায় অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় না ? এইসব কাটমানি খাওয়ার ব্যবসা । নারায়ণ স্বরূপ নিগম, মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ স্বাস্থ্য ভবনের আরও অনেকেই বেআইনি-বেনামি সম্পত্তি করেছেন ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা চাই ইডি এর তদন্ত করুক । কারণ, স্বাস্থ্য দফতরের হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে । টেন্ডার ছাড়া সরাসরি স্বাস্থ্য সচিবের মারফত যেভাবে অর্ডার দেওয়া হয়েছে, সেই দুর্নীতি সামনে আসা দরকার । আমরা ইডি বা তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুরোধ করব এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করতে । আমার বিশ্বাস তদন্ত হলে এই গোটা স্বাস্থ্য ভবনের মাথায় যাঁরা আছেন, তাঁরা সব জেলে যাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী-সহ ।" প্রসঙ্গত, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নিজেই ৷
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন যে 2016 সালের পর থেকেই আর রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নামে কোনও টেন্ডার না দেখেই দু’টি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে । এনআরআই কোটায় নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ । তাঁর দাবি, এনআইআর কোটা ভরতিতে 100 কোটির টাকার দুর্নীতি হয়েছে ৷
তাঁর আরও দাবি, নারায়ণ স্বরূপ নিগম, সঞ্জয় বনসাল, মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিডের সময় কোটি কোটি টাকার পিপিই কিট, মাক্স-সহ একাধিক জিনিসের দুর্নীতি করেছেন । এছাড়াও প্রদীপ চক্রবর্তী, পল্লব গুহ, রাজীব সিনহা ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি ।
অন্যদিকে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আজ দাবি করেন যে প্রতিবছর দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন জল ছাড়ে । রাজ্যে সরকার, ঝাড়খণ্ড সরকার, ডিভিসির আধিকারিকরা-সহ আরও আধিকারিকদের নিয়ে যে কমিটি রয়েছে, সেখানে সবার অনুমতি নিয়েই জল ছাড়া হয়ে থাকে । তাই তিনি প্রশ্ন করেন যে কেন্দ্রীয় সরকার গ্যারেন্টার থেকে রাজ্যকে বিশ্ব ব্যাংক থেকে যে 5 হাজার 400 কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে, তা দিয়ে কী কাজ হল ?