দুর্গাপুর, 27 এপ্রিল : দুর্গাপুরের CMERI-র বিজ্ঞানীদের অভিনব আবিষ্কার রোবaটিক যন্ত্র ৷ যার পুরো নাম HCARD(HOSPITAL CARE ASSISTIVE ROBOTIC DEVICE) । রোগীর কাছে ওষুধ, খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে এই ডিভাইস ৷ স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গে কোরোনা আক্রান্তের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমস্ত কাজ করার জন্য এই ডিভাইস অত্যন্ত উপযোগী বলে দাবি বিজ্ঞানীদের ।
কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন যাঁরা, সেইসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা দিতে অভিনব উদ্যোগ নিল দুর্গাপুরের CMERI । সেখানকার বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন রোবোটিক ডিভাইস কার্ড (HCARD) । অডিও ভিজ়ুয়াল সুবিধাযুক্ত এই রোবোটিক কার্ড দ্বারা রোগীর সঙ্গে চিকিৎসক ও নার্সদের দূরত্ব বজায় রেখে সমন্বয় সাধন করা সম্ভব ৷ পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরাও নিজেদের মধ্যে কাছাকাছি না এসে সমস্ত কাজকর্ম অনায়াসে করতে পারেন ৷ COVID-19 এর মোকাবিলায় এই রোবোটিক কার্ড অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে বলে দাবি CMERI-র ডিরেক্টর হরিশ হিরানির । তিনি আরও বলেন, ‘‘ভাইরাসজনিত রোগের সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দুরত্ম বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে । এই হসপিটাল কেয়ার অ্যাসিস্টটিভ রোবোটিক ডিভাইস, সংক্ষেপে HCARD যন্ত্র COVID-19’এ আক্রান্ত রোগীদের কাছে না গিয়েও তাদের খাবার, ওষুধ পৌঁছে দেবে । এই রোবোটিক যন্ত্র তৈরির খরচ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ৷ যন্ত্রটির ওজন 80 কিলোগ্রাম ।’’
রিমোট দ্বারা পরিচালিত এই রোবোটিক ডিভাইসকে যেকোনও ট্র্যাকে ঘুরিয়ে চালানো যায় । HCARD এ মোট ছ’টি UV-C জীবাণুমুক্ত তাক রয়েছে । যে তাকগুলিতে ওষুধ, খাবারসহ রোগীর মেডিকেল, ক্লিনিক্যাল রিপোর্ট এক জায়গা থেকে অন্যত্র পাঠানো যাবে । এই রোবোটিক যন্ত্রের ব্যবহারের কারণে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের । 24 ঘণ্টা এই রোবোটিক ডিভাইসকে কাজ করতে পারে । এই ডিভাইসে অডিও এবং ভিডিয়ো নির্দেশিকা আদান-প্রদান করা যায় । এই যন্ত্রের মাধ্যমে ওষুধ, খাবার, মেডিকেল, ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট, ফাইল, PPE পাঠানো যাবে । 0.5 কিমি দূর থেকে রিমোটের দ্বারা এই ডিভাইসের চালনা করা যায় । একবার ব্যাটারি চার্জ দিলে তা একটানা চার ঘণ্টা কাজ করবে । যন্ত্রের পাশে ফাইল রাখার আলাদা সাইড পকেটের সুবিধা আছে । রোবোটিক যন্ত্র হাসপাতালের সর্বত্র ঢুকতে এবং বের হতে পারবে ৷ যন্ত্রটির দৈর্ঘ্য 1115, প্রস্থ 1119 ও উচ্চতা 700 মিলিমিটার ৷
কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রমিত হচ্ছেন ৷ সেক্ষেত্রে দুর্গাপুরের CMERI-র আবিষ্কার HCARD নিঃসন্দেহে কার্যকরী ।